অনুশীলন সম্প্রদায় হতে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ । অতপর অন্যধারা সাহিত্য সংসদ

অনুশীলন সম্প্রদায় হতে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ অতপর অন্যধারা সাহিত্য সংসদ

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে অনুশীলন সম্প্রদায় নামে কবি মীর ইয়াসির উদ্দিন ইয়াসির এর বাসভবনের ছাদে সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় গত ১০ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ।সকল পরিকল্পনা করা হয় বাণিজ্য বিতান সুপার মার্কেট এর ২ তলার আমার অফিস কক্ষে।এক সময় আমার অফিসটি অনুশীলন এর অফিস হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। প্রথম আড্ডায় কিংবা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি জগলুল হায়দার,প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জামসেদ ওয়াজেদ, বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি আলী মুহাম্মদ লিয়াকত, আড্ডার মধ্যমণি ছিলেন কবি চরু হক এবং সভাপতি ছিলেন কবি মাহবুব খান। এছাড়াও সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন কবি শাওন আসগর, কবি আশরাফ মির্জা, কবি আলী মুহাম্মদ লিয়াকত,কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ,কবি মাদবর রফিক,কবি মীর ইয়াছির উদ্দিন ইয়াছিন, কবি আল ইমরান ‘কবি হাসান কামরুল, কবি জামসেদ ওয়াজেদ,কবি জগলুল হায়দার,কবি লুৎফুন নাহার রহমান, কবি হুমায়ুন কবির সাগর, কবি এ বি এম সোহেল রশিদ, কবি আতিক হেলাল, সাংবাদিক জি আর পারভেজ, ছড়াকার রাশেদ মামুন, আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান, কবি অর্ণব সুমন,কবি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, কবি মোহাম্মদ সোহেল মল্লিক, কবি কাজরি জামান তিথি, কবি রেজা সারোয়ার,কবি মনোয়ার হোসেন, কবি সাফিয়া খন্দকার রেখা, কবি গোলাম রব্বানী টুপুল,কবি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, কবি হারুন অর রশিদ, কবি জালাল খান ইউসুফি,কবি মালেক মাহমুদ, কবি হাসান রাউফুন,কবি আবিদ আজম, কবি জাফর পাঠান,কবি আসলাম প্রধান,কবি হাসিদা মুন,কবি সুশান্ত হালদার,কবি সমা খান, কবি শাহী সবূর, কবি ঋতুরাজ ফিরোজ, কবি অসীম তরফদার, কবি অনিকেত আহসান, কবি রোদেলা নীলা,কবি আফিয়া রুবি, কবি নাসিমা রহমান শিউলী,কবি জাকির মজুমদার,কবি সাব্বির আলম চৌধুরী প্রমুখ। পরামর্শ দিয়েছেন কবি আল মাহমুদ, কবি আল মুজাহিদী, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, অধ্যাপক আবুল আসেম ফজলুল হক,কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা,কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ,কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন,কবি আসলাম সানী,কবি সরকার মাহবুব,কবি এম মুস্তাকুল হক,কবি অর্ণব আশিক, কবি জাহাঙ্গীর হাবিবুল্লাহ, কবি বিলু কবীর, ড.জাহিদা মেহেরুন্নেছা ডা: মালিহা পারভীন , কবি সুফি মোতাহার হোসেন, প্রমুখ এ সকল প্রিয় কবি আজকের দিনে উত্থাপিত প্রশ্নের সকল জবাব দিতে পারবেন এবং আমার নিকট লিখিত খাতা সংরক্ষিত আছে। এভাবে পর পর চারটি আড্ডা চলার পর গত ০৭/০৫/২০১৫ তারিখে পাঁচ নং আড্ডায় কবি আল মুজাহিদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।উক্ত আড্ডায় কবি আলী মুহাম্মদ লিয়াকত প্রস্তাব করেন যে, অদ্য হতে অনুশীল সম্প্রদায় এর নাম পরিবর্তন করে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ নামকরন করা হোক। আড্ডায় উপস্থিত সকল সদস্যগণের সম্মতিক্রমে অনুশীলন সম্প্রদায়ের নাম পরিবর্তন করে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ নামকরন করা হয়। ইতিমধ্যে সংগঠনটি পরিচালনা করার জন্য কবি মাহবুব খানকে আহবায়ক এবং কবি শাওন আসগরকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর গত ২৭-০৫-২০১৫ বুধবার, সকাল ১০ টা হতে দিনব্যাপী অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলন কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সৈয়দ নুরুল হুদা রনোকে চেয়ারম্যান, আশরাফ মির্জাকে নির্বাহী চেয়ারম্যান, মাহবুব খানকে মহাসচিব, এ বি এম সোহেল রশিদকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান,আলী মুহাম্মদ লিয়াকত, ক্যামেলিয়া আহমেদসহ ১১ জনকে ভাইস চেয়ারম্যান, শাওন আসগরকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবসহ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, লুৎফুন নাহার রহমান, হাসান কামরুলসহ ০৯ জনকে যুগ্ম মহাসচিব করে এবং হারুন অর রশিদকে সাংগঠনিক সচিব নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ২০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষনা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা কবি আল মাহমুদ এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি কবি সরকার মাহবুবসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত সম্মেলনে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্থায়ী কমিটিও সংগঠনটি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়!। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সুযোগ্য নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে ধীরে ধীরে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কম বেশি সকলেই অবগত আছেন কাদের প্রচেষ্টায় সংগঠন দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছিলো। তবে আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় অনেকেই আমাকে সার্বিক সহজগিতা করেছেন। সংগঠনটি পরিচালনার জন্য নিজস্ব একটি অফিস প্রয়োজন হওয়ায় ২২ ইন্দিরা রোড(৩য় তলা), তেজগাঁও, ফার্মগেট, ঢাকায় নিজস্ব একটি কার্যালয় নেয়া হয়। সংগঠনটি পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের নামে রেজিস্ট্রেশন বা সরকারি অনুমোদন না থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হওয়ায় আমি চেয়ারম্যানের পদ হতে পর পর তিন বার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চেয়েছি এমনকি সিনিয়র সহসভাপতি কবি এ বি এম সোহেল রশিদ ও লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি কিংবা উপদেষ্টামণ্ডলী কেউই আমাদের পদত্যাগপত্র গ্রহন করেননি। পরবর্তীতে নিরুপায় এবং বাধ্য হয়ে গত ০২-০৯-২০১৬ ইং তারিখ শুক্রবার, বিকেল ০৪ টায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মানিত উপদেষ্টামণ্ডলী, স্থায়ী কমিটি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির এক যৌথ সভা এবং ৭৩তম সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কবি আল মুজাহিদী। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, যেহেতু অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের কোন রেজিস্ট্রেশন বা সরকারি অনুমোদন নেই এমনকি বর্তমানে অনুমোদন পাওয়াও কঠিন সেহেতু কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ প্রস্তাব করেন সাপ্তাহিক অন্যধারা পত্রিকাটি সরকারি ডিক্লারেশনকৃত এবং মিডিয়াভূক্ত সেহেতু অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের নাম পরিবর্তন করে অন্যধারা সাহিত্য সংসদ নামকরন করা হোক। উক্ত প্রস্তাব কবি আশরাফ মির্জা এবং কবি শাওন আসগর সমর্থন করলে উপস্থিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। কবি হাসান কামরুল প্রস্তাব করেন অদ্য হতে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ বিলুপ্তি ঘোষণা করা হোক। উক্ত প্রস্তাব কবি লুৎফুন নাহার রহমান সমর্থন করলে উপস্থিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। অন্যধারা সাহিত্য সংসদ পরিচালনার জন্য উপস্থিত সভায় ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় যার আহবায়ক নির্বাচিত করা হয় কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ, সদস্য সচিব কবি শাওন আসগর এবং প্রধান সমন্বয়ক কবি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহকে। উক্ত কমিটিকে করতালির মাধ্যমে উপস্থিত সভার সকল সদস্যবৃন্দ অভিনন্দন জানান। উল্লেখিত আহবায়ক কমিটি জাতীয় সম্মেলন করে একটি পুরনাংগ কমিটি যথা সময়ে নির্বাচিত করেন।
গতকাল ১৩-০৪-২০১৮ শুক্রবার, অন্যধারা সাহিত্য সংসদ’র নিয়মিত ১৬০তম সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
১) এখন প্রশ্ন হলো, সংগঠনের সম্মানিত উপদেষ্টামণ্ডলী, স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির যৌথ সভায় কোরাম সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি এবং সম্মতিতে সংগঠনের নাম পরিবর্তন করলে সেই সংগঠনের নামে কার্যক্রম পরিচালনা কতোটুকু যোক্তিক?
২)অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ পরিচালনার জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন কিংবা আইনগত কোনো ভিত্তি আছে কী?
৩) কোনো কবি কিংবা কোনো ব্যাক্তি যদি তার নাম পরিবর্তন করেন, তাহলে তাকে পূর্বের নামে ডাকা উচিত হবে কী?
৪) অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কোরাম সংখ্যক নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে সিদ্ধান্তগ্রহন করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নামকরনের পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন কিংবা সংশোধন করতে পারেন এমনকি সংগঠনের বিলুপ্তি ঘোষণাও করতে পারেন। এতে পূর্বের নাম বা অবস্থান বহাল থাকে কী?
৫) আমি এখন অন্যধারা সাহিত্য সংসদ এর নির্বাহি কমিটিতে নেই কিন্তু অন্যধারার সুযোগ্য নেতৃবৃন্দ ভালো ভাবেই সংগঠনটি পরিচালনা করছেন। আমি পাশে বসে সময়ে সুযোগে অনেক সময় দেখি। শুনেছি অনুশীলন সাহিত্য পরিষদও ভালোই চলছে। ঢাকা শহরে সাহিত্য সংগঠনতো অনেক আছে, চলছেও ভালো কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো বাতিল হওয়া একটি নাম নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা কতোটুকু সমিচীন এটাই এখন প্রশ্ন।
৬) যেভাবে অনুশীলন সম্প্রদায় থেকে অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ হয়েছিল একইভাবে এখন অন্যধারা সাহিত্য সংসদ হয়েছে। যারা প্রথম আড্ডা’র(১০-০৪-২০১৫) পোষ্ট নিয়ে হৈ চৈ করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে অনুরোধ করছি ঐ অনুষ্ঠানটি ছিলো অনুশীলন সম্প্রদায়ের। সকলের সাক্ষরিত রেকর্ডপত্র আজো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
বি:দ্র: আমি একজন কবিতার শ্রমিক হিসেবে অসত্য তথ্য চোখে পড়ায় নিজের বিবেকের তাগিদে শুধুমাত্র রেকর্ডপত্র ও ইতিহাসের আলোকে সত্য তুলে ধরার জন্য অসত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি মাত্র। ন্যায়ের পক্ষে কারো না কারো তো কথা বলতেই হবে। তবে সাহিত্যের সকল অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হোক, সাহিত্যের আড্ডা সফলতায় কানায় পরিপূর্ণতা পাক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। এই পোষ্টে কোনো প্রিয় কবি ব্যাথিত হলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সত্য ও কবিতার জয় হোক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here