অন্যধারা ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। নব্বই দশকের সবচেয়ে সুদর্শন ও মেধাবী নায়ক। মৃত্যুর ২৫ বছর পরও এখনো তিনি সমানভাবে প্রিয় দর্শক-ভক্তদের কাছে। যাকে বলা হয় বাংলা ছবির ফ্যাশন আইকন। ঢালিউড সিনেমার নায়কদের নিয়ে কথা বলতে গেলেই তার ছবি চোখের সামনে দৃশ্যপট হয় সাবর আগে।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। ২৫ বছর পেরিয়ে গেল সালমান শাহ নেই। ১৯৯৬ সালের আজকের দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সালমান। মৃত্যুর দুই যুগ পরও চলচ্চিত্রের মানুষেরা আফসোস করে বলেন, আজও কেউ পূরণ করতে পারেননি সালমান শাহের শূন্যস্থান। নায়ক সালমান ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
সালমান শাহ (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ – ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন একজন একজন কিংবদন্তী অভিনেতা । তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও ১৯৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জননন্দিত শিল্পী হয়ে উঠেন। ১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায়। তিনি সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সবকয়টিই ছিল ব্যবসাসফল সিনেমা।
তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- সুজন সখি (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), জীবন সংসার (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) ইত্যাদি
সালমান শাহ মৃত্যুর আগে মন মানে না ছবির ৫০% কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন, তার মৃত্যুর পর চিত্রনায়ক রিয়াজ কে দিয়ে ছবিটি করানো হয়। এছাড়াও কে অপরাধী, তুমি শুধু তুমি, প্রেমের বাজি সহ একাধিক মুভি সালমান শাহ অর্ধেক শুটিং করে মারা যান। পরবর্তীতে প্রেমের বাজি ব্যতীত বাকি সিনেমাগুলি অন্য নায়কদের দিয়ে নতুন করে শুটিং করা হয়। সালমানের অসমাপ্ত সিনেমার মধ্যে একমাত্র প্রেমের বাজি সিনেমার কাজ পরে আর শেষ হয়নি।
আজ সালমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশে কোটি কোটি ভক্তরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাকে। এভাবেই যুগ থেকে যুগে সবার কাছে চির অমর নায়ক হয়ে বেঁচে থাকবেন সালমান শাহ।
অন্যধারা/সাগর