আমাদের স্বাধীনতা, উত্তরকাল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা | অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী

- Advertisement -
- Advertisement -

%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%95-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80স্বাধীনতা জাতীয় জীবনের জন্য প্রয়োজন। ব্যক্তির জীবনধারায় জাতীয় স্বাধীনতার প্রভাব ক্রিয়াশীল। তাই তো কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে স্বাধীনতার জন্য আকুতি প্রকাশ করেছিলেন এই বলে: স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়? তিনি পরাধীনতার মধ্যে বেঁচে থাকা জীবনকে নরকতুল্য বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়া এবং তাকে রক্ষা করা সহজ কাজ নয়। স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়, আত্মত্যাগ করতে হয়। আর স্বাধীনতার জন্য এ লড়াই, এ সংগ্রাম একদিনের নয়। এ এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
ভারতবর্ষ ইংল্যান্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন হয়ে পড়েছিল। পরে ব্রিটিশ সরকার উপনিবেশিটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। এ দখলদারিত্বের শুরু থেকেই প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। প্রতিরোধের লড়াই হয়েছে। প্রচুর রক্ত দিতে হয়েছে। তারপর ভারতবর্ষ নামক উপমহাদেশটি ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলো বটে, কিন্তু তা পরিণত হলো দুটি দেশে- দুটি রাষ্ট্রে: ভারত এবং পাকিস্তান।
তার ভিত্তি হয়েছিল ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’। মুসলমান ও হিন্দু দুই জাতি। সুতরাং এ দুটি জাতির জন্য চাই পৃথক আবাসভূমি বা পৃথক রাষ্ট্র। কিন্তু বাস্তবে তার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটল না। ভারতে বিপুল সংখ্যক মুসলমান রয়ে গেল। পাকিস্তানও একবারে হিন্দুহীন হলো না। কিছু হিন্দু পাকিস্তানে রয়ে গেল। মাঝখান থেকে ঘটল যুগ যুগ ধরে পাশাপাশি বাস করে আসা দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা, হানাহানি, রক্তপাত। পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে হলো কত জনকে। সইতে হলো দুঃসহ জীবনের যন্ত্রণা। সাংস্কৃতিক তথা মনোজগতের যে ক্ষতি হলো দুই সম্প্রদায়ের, তার ফল হলো, সুদুর প্রসারী। যে ক্ষত সৃষ্টি হলো তার নাম সাম্প্রদায়িকতা। প্রকৃতই ফলপ্রসূ হলো বৃটিশ উপনিবেশিক শাসকের ‘বিভেদ  করো এবং শাসন করো’ নীতি এবং সেই সঙ্গে তা স্থায়ী প্রভাব মুদ্রিত করে দিলো ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের জীবনধারায়।
পাকিস্তান রাষ্ট্রটির গঠনটিও হলো অভূতপূর্ব। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তির কথা তুলে পূর্বে-পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমে-সিন্ধু, পাঞ্জাব, বেলুচিন্তান উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ইত্যাদি নিয়ে গঠন করা হলো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র। উভয় অঞ্চলের মধ্যে রইল ভারত নামক আরেকটি রাষ্ট্র। সিন্ধু, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিন্তান প্রভৃতি অঞ্চলকে একত্রে বলা হলো পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব বাংলার নামকরণ করা হলো পূর্ব পাকিস্তান। এক দেশের দুই প্রদেশ। মাঝখানে বার’শ মাইলের ব্যবধান। এ ব্যবধান কেবল স্থানিক ব্যবধান নয়- জাতীয়তা তথা সাংস্কৃতিক ব্যবধান বটে।
এ ব্যবধানের প্রমাণ মিলল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে। কী হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা? পাকিস্তান রাষ্ট্রের তদানীন্তন প্রধান ঘোষণা করলেন: ‘উর্দু- একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ পূর্ব বাংলার বাঙালিদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হলো। পূর্ব বাংলার চাওয়া ছিল: উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হোক। কিন্তু পাকিস্তান সরকার অনড়। কেবল অনড় নয়, শক্তি প্রয়োগ করে ভাষা আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হলো। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সংবিধান প্রণয়ন নিয়েও নানা সংকটের সৃষ্টি হলো। সর্বক্ষেত্রে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য স্পষ্ট হয়ে উঠল।
১৯৪৭-এর কিছু পরে জনগণের নির্বাচিত সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘যুক্তফ্রন্ট’। কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারল না। এ পটভূমিতে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হলো সামরিক শাসন। শুরু হলো সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বুঝতে পারল, ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা করায়ত্ত করার জন্য। পাকিস্তান আসলে হয়ে পড়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের একচেটিয়া পুঁজিপতিদের সমর্থিত সামরিক সরকারের পদানত। ধর্মকে ভিত্তি করে যে ভাবাদর্শে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে ভাবাদর্শ আসলে ঢালমাত্র। মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেই ঢালের আড়ালে থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনেতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা।
শিক্ষা ক্ষেত্রেও এমন নীতি করা হয়েছিল যা গণবিরোধী, যা সার্বজনীন বিজ্ঞানসম্মত ও সুলভ নয়। তাই ১৯৫৯ ও ১৯৬৪-এর ‘শিক্ষা কমিশন’ রিপোর্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সচেতন ছাত্রসমাজ। সামরিক শাসনের ভিত কাঁপাতে, তাকে নড়বড়ে করে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টটি বিরোধী আন্দোলনগুলোতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যা রাজনৈতিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
মোট কথা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুটি প্রধান ধারা মূর্ত হয়ে উঠল: একটি ইসলাম ধর্মকে নামত: প্রধান করে তুলে ধর্ম কেন্দ্রিক ধারা। আরেকটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল ধারা। এ প্রগতিশীল ধারা পূর্ব পাকিস্তানে রূপ নিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শে। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আন্দোলন যার অঙ্কুর।
১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সামরিক শাসনের অবসান ঘটে, যদিও ‘হা/না’ ধরণের ভোট করে এবং নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ব্যবস্থা যা ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ নামে পরিচিত ছিল। তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসিত ধরণের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কার্যত তা ছিল সামরিক শাসনেরই ছদ্মাবরণ মাত্র।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব খানের শাসনের অবসান ঘটল বটে, কিন্তু জনগণকে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে চলতে হলো। কেবল আইয়ুব খানের জায়গায় এলেন ইয়াহিয়া খান। তিনি আশ্বাস দিলেন নির্বাচিত সরকারের হাতে তিনি ক্ষমতা দেবেন। সব সামরিক সরকারই এ রকম আশ্বাস দেয়।
যাই হোক, ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচন হলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পেলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহনা শুরু করে সামরিক সরকার। অসন্তোষ দানা বাঁধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বলতে গেলে তখন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ১৯৭১-এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে তাঁর স্পষ্ট বহি:প্রকাশ। ১৯৭১-এর ২৬শে মাচ ঘটে স্বাধীনতার সুচনা। তাই ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ আন্দোলনের সফল পরিণতি ঘটে ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর পূর্ণ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। তাই ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
পূর্ব প্রসঙ্গে ফিরে যাই। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে সামরিক বাহিনীকে দিয়ে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামকে-মুক্তিযুদ্ধকে স্তব্ধ করে দিতে চাইল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প রইল না। সে পথেই হাঁটতে শুরু করল স্বাধীনতাকামী জনগণ। তবে, পাকিস্তান সরকারের সুবিধাভোগী একটি অংশ ঘোষিত স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার ভারতে থেকে আন্দোলন পরিচালনা করতে লাগল। মুক্তিকামী জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়ল মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয়ে।
অনেক রক্ত অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। স্বাধীনতা পাওয়া গেল ঠিকই। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে ঘুরিয়ে দেওয়া হলো ইতিহাসের চাকাকে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল, যারা হাত মিলিয়েছিল পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তারাও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হয়ে উঠল। আবার সামরিক শাসন।
আবার ‘হা/না’ ভোট। আবার রাষ্ট্রপতি শাসিত ধরণের সরকার ব্যবস্থা। পরিবর্তিত হলো রাষ্ট্রীয় চার-নীতি। সে চার-নীতি ছিল: ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র। এর জায়গায় চার-নীতি হলো আল্লায় ঈমান এ বিশ্বাস, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং অর্থনৈতিক  ও সামাজিক ন্যায় বিচার। এর কী প্রয়োজন ছিল?
বাংলাদেশের জনগণ এমনিতেই ধর্মভীরু। আর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা ছিল না। তা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে ব্যবহার না করা। আর সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক সাম্য তো এখনও কাম্য। কাজেই এ শুধু কিছু শব্দগুচ্ছের পরিবর্তন নয়, এ একটি ব্যবস্থার পরিবর্তন। বাংলাদেশ নামে রইল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে রাষ্ট্রীয় ভাবাদর্শটাই পরিবর্তন করে দেওয়া হলো। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর এতগুলো বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত ফল যে অর্থনৈতিক মুক্তি, তা অর্জিত হয়নি।
গণতন্ত্র এখনও পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। চলছে ধর্মের নামে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের প্রয়াস। এ জন্যে সম্ভাবনাময় তরুণদের ধর্মের নামে উগ্রপন্থীতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। তারা হয়ে পড়েছে জঙ্গিবাদী। প্রকৃত পক্ষে লড়াইটা ধর্মের জন্য নয়। ক্ষমতা দখল করে তাকে আঁকড়ে থাকার জন্য এ এক প্রতিক্রিয়াশীল প্রচেষ্টা। মাঝখান থেকে জনগণ যে তিমিরে সেই তিমিরেই থেকে যাচ্ছে। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করার বিষয়টা প্রকৃত মনোযোগ পাচ্ছে না। এ এক নির্মম বাস্তবতা।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জনগণকেই আরও সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে প্রকৃত সত্য। চিনে নিতে হবে ঐক্যের ভিত্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে। দাঁড়াতে হবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। মনে রাখতে হবে: আমরা কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা ধর্মান্ধতা এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বিরুদ্ধে। বাঙালি ছাড়াও চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, খাসিয়া, সাঁওতাল, ওয়াও প্রভৃতি যে সকল উপজাতি রয়েছে, তারাও বাংলাদেশের নাগরিক। তাদেরেকে যেমন জাতীয় জীবনে সামিল হওয়ার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে, তেমনি রক্ষা করতে হবে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য।
প্রতিষ্ঠিত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা। এই মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা বলতে কেবল মুক্তিযুদ্ধ বোঝায় না। বোঝায় যে চেতনা আমাদের তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, সেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির চেতনা। প্রকৃত গণতন্ত্রের চেতনা, অসম্প্রদায়িকতা ও মানবিকতার চেতনা। ধর্মকে মেনে ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনা। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন আমাদের বিভ্রান্ত করতে না পারে। আমরা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকি। জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে হোক। নির্বাচনে বিভিন্ন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতায় থাক। ক্ষমতা যথারীতি হস্তান্তরিত হোক। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে আমরা যেন কখনই সরে না যাই।

- Advertisement -

আরো পড়ুুর