আর্থিক সংকটের কারণে আফগানরা তাদের সম্পদ বিক্রি করা শুরু করেছে

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নগদ অর্থ না থাকায় আফগানিস্তানের অনেকেই তাদের ঘরোয়া জিনিস বিক্রি করতে শুরু করেছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর  আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস ইতিমধ্যেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তালেবানরা ১৫ আগস্ট রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আফগানরা নগদ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক তহবিলে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে এবং ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

যদিও অনেক ব্যাংক পুনরায় খোলা হয়েছে, তবে টাকা উঠানোর পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেয় সপ্তাহে ২০,০০০ আফগানিস ($ ২৩২)। তহবিল উত্তোলনের সুযোগের অপেক্ষায় শত শত নারী -পুরুষ দেশের ব্যাংকের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দিন কাটাচ্ছেন।

জাতিসংঘ সতর্ক করে ঠিলো যে, আফগানিস্তানে দারিদ্র্য ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এখন অনেক বাসিন্দা তাদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে ছুটে যাচ্ছে তাদের অর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালানোর আগে এবং তালেবানদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে, আফগানিস্তান ইতিমধ্যে একটি ধীরগতির অর্থনীতির মুখোমুখি হয়েছিল যা বৈশ্বিক কোভিড মহামারী এবং দীর্ঘকালীন খরা যা কৃষির উপর নির্ভরশীল অর্থনীতিকে আরও ধ্বংস করে দিয়েছে।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৯৭ শতাংশের বেশি জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে ডুবে যেতে পারে। সোমবার, জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জেনেভায় আফগানিস্তানের ওপর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের মানবিক সহায়তা সম্মেলন ডেকেছিলেন, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য সহায়তার দিকে যাবে।

অন্যধারা/সাগর

- Advertisement -

আরো পড়ুুর