ইলেক্ট্রিক ইল যার উৎপন্ন বিদ্যুৎ একজন মানুষকেও মেরে ফেলতে সক্ষম

অন্যধারা ডেস্ক : সমুদ্রের তলদেশে বিভিন্ন  বৈশিষ্ট্যের অনেক প্রানী থাকে। এর মধ্যে  একটি অদ্ভুত প্রজাতির প্রাণী হলো “ইলেক্ট্রিক ইল” মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম E. electricus। এদের দেখতে অনেকটা বাইন মাছের মতো। এরা সাধারনত ৬-৭ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ওজন সাধারনত ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত হয়। এই মাছ গুলো এত বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে যা একজন মানুষকে মেরে ফেলতেও সক্ষম।

ইলেকট্রিক ইলের পেটে তিন জোড়া অঙ্গ থাকে যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যেমনঃ প্রধান অঙ্গ, হান্টারের অঙ্গ এবং স্যাচের অঙ্গ। এই তিনটি অঙ্গ মাছের দেহের চার ভাগের এক ভাগ করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। ইলেক্ট্রিক ইলের দুই ধরনের বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার ক্ষমতা থাকে, যেমন: নিম্ন ভোল্টেজ এবং উচ্চ ভোল্টেজ। এই অঙ্গগুলো ইলেক্ট্রোসাইট থেকে তৈরি।  যখন ইলটি তার শিকার খুঁজে পায়, তখন মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংকেতের একটি সংকেত প্রেরণ করে।

দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার খাল ও নদীর স্বচ্ছ পানিতে এবং কার্দমাক্ত পানিতেও এ মাছ পাওয়া যায়। এরা  ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এই বিদ্যুৎ প্রবাহর পরিমান প্রায় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে ১-২ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত।

লেজের বিশেষ অঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। কোন শত্রু বা শিকারের আভাস সে পায় তখন তার স্নায়ুর ক্রিয়ার দরুন নেগেটিভ পজেটিভ বর্তনী তৈরি হয় এবং বিদ্যুত উৎপন্ন হয়। এ অঙ্গ থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তিকে ইংরেজীতে বলা হয় Electric Organ Discharge সংক্ষেপে EOD.

অন্যধারা/সাগর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here