রাজধানীতে ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গরুর মাংসের কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। কেজি ৭০০ টাকার কমে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে কক বা সোনালী মুরগির দাম।
পাশাপাশি কাঁচাবাজারের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও অধিক হারে চড়া দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদেরকে।
আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, গরুর মাংসের দোকানে প্রতি কেজিতে ৭০০ টাকা করে বিকি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ৭১০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করছেন। এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৭২০-৭৩০ টাকা। সুপার শপগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭২৫ টাকা করে। এর আগে গত সপ্তাহেও রাজধানীতে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় মাংস ব্যবসায়ী ফরজ আলী কেজিতে ৭৩০ টাকা করে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, পানিতে ভিজিয়ে ওজন বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আমরা টাটকা মাংস বিক্রি করছি, একটুও পানি নাই। আমাদের বিক্রি করা মাংসের স্বাদ ৭০০ টাকায় বিক্রি করা মাংসের সাথে এক হবে না। আমাদের গরুর মাংস কেজিতে ৭৫০ টাকা কিনলেও লাভ হবে। তবুও আমরা ৭৩০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি।
খিলগাঁওয়ের খায়রুল হোসেন নামের এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন যাবত গরুর পিছনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে পরিস্থিতি এমনটা থাকলে গরুর মাংসের কেজি আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে গেছে। বিভিন্ন মুরগির দোকানে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা। কিন্তু কয়েকদিন আগেও ছিল ১৭০-১৭৫ টাকা করে। এছাড়া কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৪০ টাকা করে।
খিলগাঁওয়ের এক মুরগী ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিন পরেই আসছে ঈদ। তাছাড়া বর্তমানে বাজারে মুরগির সরবরাহ অনেকটা কম। এ কারণেই ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা
এছাড়া সবজির বাজারে ৫০-৬০ টাকা করে পটল, ৬০-৭০ টাকা করে বরবটি, ৫০-৬০ টাকায় ঢেঁড়শ বিক্রি করা হচ্ছে। লাল শাকের প্রতি আঁটি ১০-১৫ টাকা আবার কেউ কেউ ২০ টাকা করেও বিক্রি করছেন এবং পালং শাকের আঁটি বিক্রি করা হচ্ছে ১০-১৫ টাকা করে।
সজনের ডাটা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। করলা বিক্রি করা হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।
অপরদিকে মাছ বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, এ সপ্তাহে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা। পাঙাশ, তেলাপিয়া মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪৬০ টাকা। এছাড়াও শোল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
দৈনিক অন্যধারা/২৯ এপ্রিল ২০২২/জকাতা