- Advertisement -
উঠেনি ষোড়শী শশী
মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম
অর্বাচীন সময়ের হাত ধরে বসুমতির অপাংক্তেয় পাণ্ডুর গাল ছেয়ে গেছে বিরহ বিলাসে,
নেংটি ইদুর খামছে ধরেছে উল্লাসে ভরাযৌবনা গমের শীষে,
নীল আকাশ গেছে অবকাশে শ্রাবাণ ধারাকে ভালবেসে,
নিয়মের ধারপাতে জবর দখল নিল এসে অনিয়ম অট্ট হেসে!
এ যে ঘোর আঁধার বেদনায় জগদ্দল পাথার দাঁড় কাকের চিৎকারে হতাশা মিশে,
হামাগুড়ি দেয় মৃত্যুর পরোয়ানা হায়নার দখলে মাঝ রাতের চাঁদনী প্রহর,
বৃথাই জীবনের আয়োজন সবই মিছে দু’দিনের এই খেলাঘর।
ছেয়ে গেছে বিষাক্ত নাগীনির নিঃশ্বাস বিশ্বাসের পারদে,
দায় দেনা চুকে হিসাবের নোটবুকে করনিক মহাবিপদে।
স্বর্গের ঠিকানা বড়ই সংকূল কন্টকমনিহার মাথার উপর,
ডুবন্ত শহরে খুবচেনা হায়েনা খেলে রক্তেরহলি রাতভর।
প্রতীক্ষিত রমনীয় বাসনা পায় না কভু বন্দরের ঠিকানা
পথিক জানেনা প্রাণেরপদাবলী জলাঞ্জলি দিয়ে কামনা,
সতীসাধ্বী স্বপ্নরা হচ্ছে কামলালসারবলী যেনো দিবানিশি
সমাজপতিদের মনোরঞ্জনে দরজার ওপারে অনিচ্ছায় রতিদাসী।
প্রতিহিংসায় জ্বলছে নগরী আবেগের দুয়ারে সুশীলরা ভিখেরী প্রতি প্রাতে,
ভাগের পেয়ালা চাটে হনুরদল লজ্জায় মুখ লুকায় সুজন রাতে।
শিশির ভেজা রজনী গন্ধা,শতদলের এ কোন পাহারা,
অপমানে আত্মহত্যায় ব্যস্ত সন্ধ্যাকাশের সকল তারা,
নিরাশার সহবাস পুর্ব পশ্চিমে,উত্তর দক্ষণে ঘুমহারা। রজনী বিরল তোমার চোখে কোণে কেন এত জল?
পলেস্তা খসে খসে বিবর্ণ আশার স্মৃতিসৌধ ভঙ্গুর মনে এ কোন ছল!
প্রত্যাশার তরী সেই কবে গেছে ডুবে সাগরের নগ্ন উচ্চাবিলাসে।
বাসর শয্যা সেই কবে হতে গেছে যেনো পরবাসে
অভিমানে উঠেনি ষোড়শী শশী হৃদয়ের আকাশে।
অন্যধারা/সাগর
- Advertisement -