একবারই তো মরণ হয়
আবুল কালাম আজাদ
ছুটছে জীবন শেষ ঠিকানায়, দূর-বহুদূর অচিনপুর ।
পার হয়ে সব পাহাড়-মরু, বন-ভয়ঙ্কর, সমুদ্দুর ।
দূর গগনের চন্দ্রতারা, সাত আকাশের সীমানা,
পাতালপুরী, মায়ার শহর নয় জীবনের নিশানা।
নিশানজয়ী ধংসনিশান, প্রলয়বিষাণ,বিষের সুর,
কোন সে মোহে কে জানে যে জীবন চলে কোনসুদূর !
এক ঠিকানাই সব জীবনের, সবশেষে সব একখানে,
এক আলোহীন অন্ধকারে আলোর আশায় দিন গোণে।
কর্মগুণে আলোর ঝিলিক সেই আঁধারেই কেউ পাবে,
কেউ সে সময় কর্মফলের বিষাদ দেখে পোস্তাবে ।
ফল পাবে না, রদ হবে না কর্মফল যে সেই সময় !
নেই অবকাশ, হিসাব-নিকাশ করা উচিৎ এই সময়।
এই সময় আর সেই সময়ের মধ্যেখানে ছোট্ট ফাঁক,
সেই ফাঁকে কেউ চক্ষু বুজলে তার ঘনাবে ঘোরবিপাক ।
কালবিপাকের করাল গ্রাসে পড়ার আগেই বন্ধুগন ,
এখন থেকেই সাবধান হও ঘেরার আগে সেই আগুন ।
আগুনজ্বলা গল্পমালা, কল্পকথার কি-ইবা দাম,
শেষ বিচারের মিলনমেলায় না হলে কেউ সফলকাম !
রিক্ত সিক্ত রক্ত মাখা মধুর বিধুর সব জীবন,
ইচ্ছাতে বা অনিচ্ছাতেই মরণ করে আলিঙ্গন ।
সেই মরণকেই বন্ধু বলো করছো কেন এখন ভয় ?
সব জীবনের সন্ধিক্ষণে একবারই তো মরণ হয় !
অন্যধারা/সাগর