ছবি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। (সংগৃহীত)
গত ২২ জুন কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। গত ৩১ মে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় সরকারের কাছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন এবং আরও ৯ জন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানো অন্য আইনজীবীরা হলেন— মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো. রেজাউল করিম ও মো. আলাউদ্দিন।
নোটিশ পাঠানোর পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেছিলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য ধানমণ্ডিতে একটি বাড়ি দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ১৯৭৬ সালে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। তাঁকে ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদক দেওয়া হয়। সবকিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল আছে। কিন্তু, নির্মম সত্য হলো, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সরকারি ঘোষণার কোনো লিখিত দলিল বা প্রমাণ নেই।
দৈনিক অন্যধারা/২০ জুলাই ২০২২/জ কা তা