জেলহত্যা দিবসে
কল্যাণ চক্রবর্তী
স্বাধীনতার সংগ্রামীরা ঢুকলো দেশের জেলে
ষড়যন্ত্রের কুশিলব হাসছে চোখ মেলে
পাকিমেধার বংশবদের হাতে পড়ল দেশ
পঁচাত্তরে হলো তারাই পাকা বুনো মেষ।
এই মেষদের রক্তচক্ষু সংগ্রামীদের জ্বালায়
জেল-জুলুম গুলি বন্দুক ইচ্ছে মতো চালায়
বঙ্গবন্ধু হত্যা হলে মোস্তাক-জিয়ার দল
থাকল না আর মুক্তিযোদ্ধা করল কতো ছল।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন যে চার জন
পারলনা আর বাইরে থাকতে ঢুকলো প্রিজন
ওদের দলে ভিড়ল যারা পেল মহাসুখ
বিট্রেয়ারদের কে আর পারে বন্ধ করতে মুখ।
মিথ্যাচারের ফুলঝুড়িতে চালায় ভূতের গাড়ি
জেলের মধ্যে ঢুকলো যেটা নিরাপত্তার বাড়ি
এজিদ কি আর হইল সেদিন ওদের চেয়েও অধম
হত্যালীলা চালায় হায়না বাড়ায় বুটের কদম।
এইতো হলো ইতিহাসের ফাঁসির কাষ্ঠ জানি
বাংলাদেশেই মুক্তিযোদ্ধার করল প্রাণ হানী
হায়রে পাগল চিনলিনারে দেশ মাতার এই কোল
কত মিথ্যার বাদ্য বাজাও বাজাও পিশাচ ঢোল।
ইতিহাসের বিচার শক্তি ইতিহাসই জানে
নিপাতনে সিদ্ধ হলো বুঝলি না এর মানে
এখন দেখ বীরের পূজায় জাগছে আবার জাতি
ন্যায়ের পথে চলছে দেশ ফুলছে সুখের ছাতি।
তোমরা যারা জীবন দিলা ভুলছিনাতো আর
দুশমনদেরকে দিচ্ছি না আর একটুকরো ছাড়
জেলহত্যা দিবস আজ দিচ্ছে কঠিন ডাক
ষড়যন্ত্রের উৎসমূল যাকরে নিপাত যাক।
থাকুক জাতি শান্ত চিত্তে সুখি ধরাতলে
লালসবুজের দীপ্তি আবার উঠুক নিজে জ্বলে।