জন্ম তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর, কর্মজীবনে তিনি প্রথম দিকে কলেজে শিক্ষকতা করেন।
স্কুল : St Philip’s high School
কলেজ: দিনাজপুর সরকারি কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ইকোনোমিকস, অনার্স, মাস্টার্স)
বাবা: আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন শাহ্, তিনি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
মাতা: মোছা: মেহেরুন নেছা (তিনি পরলোক গমন করেছেন)
স্বামী: মোরশেদ আজম বাকী বিল্লাহ্ (স্বপন), একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
একমাত্র পুত্রসন্তান আসিফ মোরশেদ সুস্ময়, বিবিএ অধ্যায়নরত। তাকে ঘিরেই তার আনন্দ উল্লাস।
তিনি যখন ক্লাস ফোরে পড়েন, কবিতা লেখার শুরু তখন থেকেই। সে সময় দিনাজপুরের দৈনিক উত্তরা, প্রতিদিন, তিস্তা, ইত্যাদি পত্রিকায় নিয়োমিত তার লেখা প্রকাশ হতো। তিনি যখন ক্লাস সিক্সে পড়েন, দিনাজপুর শিশু একাডেমি থেকে আয়োজিত বৃহত্তর দিনাজপুর এর স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি একটি স্বরচিত দেশের কবিতায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। কবিতার নাম ‘জন্মভ‚মি আমার’। কলেজে পড়াকালীন সময়ে চীনের রেডিও বেইজিং এর বাংলা অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষা ভাষীদের নিয়ে লেখা প্রতিযোগিতায় তিনি ২য় হন। তার এই কবিতাটির নাম ‘জীবন গীতিকা’। বাংলা একাডেমির বইমেলা-১৭’ তে প্রকাশিত তার কাব্যগ্রন্থটি এই কবিতার নামেই প্রকাশিত হয়েছে। কবির ৩ টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রেম-ভালোবাসা ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্ভাসিত কবি বেবী আফরোজ আবেগের খুব কাছাকাছি গিয়ে তুলে আনেন কবিতা। বিশুদ্ধ এই শব্দতাপসীর কলমে ধরা দেয় মা, মাটি, মাতৃভ‚মি; বাদ যায় না দ্রোহ। নারী জাগরণের জন্য তার শব্দরা কথা বলে সব সময়। ‘কিংবদন্তি’ কাব্যগ্রন্থে বেবী আফরোজের কবিতার পংক্তিগুলো নিখুঁত ভালোবাসার পথে হেঁটে চলার পাশাপাশি বলেছে প্রেরণার কথা; কবি এঁকেছেন ‘বৃষ্টি-আকাশ’। ‘আবেগী বিবেক’ এর খুব কাছাকাছি ‘দর্পন’ রেখে পাঠককে দিতে চেষ্টা করেছেন ‘অনুপ্রেরণা’। তার ‘স্বপ্ন-সন্ধানী’ চোখ ‘স্মৃতিমন্থন’ এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছে ‘ভালোবাসার কাব্য’।
‘অরণ্যের এক চিরাচরিত পথিক’ কবি তার ‘অচিন পাখি’ কবিতায় ভালোবাসার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘একটি বর্ষণমুখর দীর্ঘ বিকেলে/যেথায় আকাশের নীল মাটির সবুজকে/ অনবরত ছুঁতে থাকে/সেথায় জেনেছি আমি/ভালোবাসা কি’।