আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে আফগানিস্তানে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। কাবুল দখলের প্রায় তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। আলোচিত নেতা আব্দুল গানি বারাদার হচ্ছেন তার উপ-প্রধানমন্ত্রী।
আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নানা দেশ ও সংস্থা।
আফগানিস্তানের নতুন সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান নতুন সরকার ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, (আফগানিস্তানে) ঘোষিত নামের তালিকায় কেবল তালেবান সদস্য বা তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা রয়েছেন এবং কোনো নারী নেই। আমরা (এদের মধ্যে) কিছু লোকের অন্তর্ভুক্তি ও অতীত ইতিহাস নিয়েও উদ্বিগ্ন।
চীন
চীনারা এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও দেশটিতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, আপাতত আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে চীন। তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কি না তা দেখতে চায় বেইজিং।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, তারা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছেন। কঙ্গো সফরকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানি না (আফগানিস্তানের) এ অন্তবর্তী সরকার কতদিন থাকবে। আমাদের এ প্রক্রিয়াটি সাবধানে অনুসরণ করতে হবে।
কাতার
কাতারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, তালেবান এখন ‘বাস্তববাদী’ মনোভাব দেখাচ্ছে এবং কাজের মাধ্যমেই তাদের বিচার করা উচিত। কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার বলেন, তালেবান অনেক বেশি বাস্তববাদ দেখিয়েছে। আসুন, সেখানকার সুযোগগুলো কাজে লাগাই এবং তাদের সাধারণ কার্যক্রমগুলো দেখি। তারাই যে আফগানিস্তানের প্রকৃত শাসক, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, সরকারের স্বীকৃতির সঙ্গে বৈশ্বিক এই সংস্থাটির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি সাংবাকিদের বলেন, এটি সদস্য দেশগুলোই করে, আমারা নই। আজকের (মঙ্গলবার) ঘোষণা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, কেবল আলোচনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিষ্পত্তির মাধ্যমেই আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি আনা সম্ভব।
অন্যধারা/সাগর