কৃষক থেকে পেরুর প্রেসিডেন্ট হলেন পেদ্রো কাস্তিলিও

অন্যধারা ডেস্ক : প্রান্তিক কৃষকের সন্তান হিসেবে শৈশব থেকেই কৃষির সাথে গভির সম্পর্ক। তবে ভাবনার পরিধি কখনোই নিজের ক্ষেত-খামারে সীমাবদ্ধ রাখেননি পেদ্রো কাস্তিলিও। চিন্তায়-মননে বামপন্থি ঘরানার ‘কৃষক’ পেদ্রোই এবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর। সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির ন্যাশনাল ইলেকশনস জুরি (জেএনই)। বুধবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের হাল ধরলেন তিনি। ফ্রি পেরু পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল শপথ নেওয়ার পর পরই তিনি পেরুর জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

৫১ বছর বয়সী পেদ্রো দরিদ্র কৃষকের সন্তান। পেরুর গ্রামীণ দরিদ্র ভোটারদের সমর্থনেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘এই প্রথম এ দেশ একজন কৃষক দ্বারা পরিচালিত হবে।’ বামপন্থি পেদ্রো স্কুলশিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন। তার বিজয় দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক এলিটদের বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইলেকশন জুরি ফলাফল ঘোষণার পর রাজধানী লিমায় বক্তব্য রাখেন কাস্তিলিও। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের বাইরে যেকোনো কিছুকে প্রত্যাখ্যান করবো। তিনি আরও বলেন, পুরো দেশকে একত্রিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন।

পেরুর ইতিহাসে ৬৩তম প্রেসিডেন্ট সাবেক এই শিক্ষক, কৃষক এবং বামপন্থী উচ্চাভিলাষী রাজনীতিবিদ পেদ্রো কাস্তিলিও। কিন্তু আর কোনো প্রেসিডেন্ট তাঁর মতো দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ছিলেন না। আর এ কারণেই দেশটির সাধারণ মানুষ ধারণা করছে, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর নীতিমালা পেরুকে বিশ্বে তুলে ধরবে এক অনন্য উচ্চতায়।

রাজনীতিতে কাস্তিলিও নতুন মুখ। কাস্তিলিও জনপ্রিয় নির্বাচনি স্লোগান ছিল, ধনী দেশে কোনও গরিব না। তার সমর্থকরা পেরুর দরিদ্র এবং গ্রামীণ নাগরিক। পেরু লিব্রে পার্টির হয়ে জয়ী হলেন তিনি। শপথের ঠিক দুদিন আগেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য বেতন গ্রহণ না করার ঘোষণা দেন পেদ্রো কাস্তিলিও। তিনি জানান, শিক্ষকতা পেশা থেকে যে অর্থ পেতেন সেই পরিমাণ অর্থ নিয়ে চালাবেন সংসার।

অন্যধারা / সাগর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here