গহীনের শব্দ
রূপকথা মৌ
অপার হয়ে দ্বাড়িয়েছি নিঃসীম সীমান্তে
অলিক ভাবনার খুনসুটি দিন ডেকে যায়- কে তুমি?
গায়ে এঁকেছি দাসত্বের চিহ্ন।
জলের পূঞ্জীভূত দাগে বুকে জমেছিলো যে সুখ
সেও যেনো ফাগুনের আগুন হয়ে
মিশে যায় নীল সাগরের ঢেউয়ে।
একরাশ শুণ্যতায় দৃশ্যমান সবই যেনো
নিমিশেই হয়ে ওঠে মিছে মায়া
তীর্থের রংধনুর মতো মৃয়মান সুখগুলোও এক সময়
হারিয়ে যায় অচিন ঠিকানায়।
তোমাকে চলে যেতে দেখেছি কল্পিত গহনে
তাইতো মিহি আঁধারে কষ্টেরা আজ খালি পায়ে হাঁটে।
ফেরারী সময়গুলো সব
জড়ো হয় হিজল তলার বাঁকে
তখন কষ্টগুলো জেগে ওঠে শিশিরের সূর্যালাপে
অতীতের স্মৃতিগুলো বলে যায়-
চলো না একবার মেঘ জলে ভাসি
আবেগী মনটা তখন হয়ে ওঠে নীল ধ্রুবতারা।
সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে গুমরে গুমরে কাঁদে মন
বিবিধ দহনে পুড়ে ছার-খার হৃদয় জমিন
মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয় সময়ের প্রতিচ্ছবি
ইঙ্গিত করে বলে যায়-
থেকে যাও না আরো কিছুক্ষণ মুক্তি অপেক্ষায়।