ফিচার ডেস্ক:
পেটের ক্ষুদা নিবারণের জন্য মুখের সাহায্যেই খাবার খেতে হয় । সেই মুখে যদি ঘা হয় তবে তা হবে খুবই যন্ত্রণাদায়ক। মুখে ঘা হলে ঠিকমতো খাওয়া যায় না, কথা বলা যায় না। মুখের ভিতরে একটি ক্ষত থেকেই অনেকগুলি ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে মুখে ব্যথা ও যন্ত্রণা হয়। মুখের ঘা এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মুখের ভিতর হঠাৎ কামড় লাগা, ভিটামিনের অভাব, ঘুমের অভাব ও মানসিক চাপের কারণে মুখের ঘা হয়।তাছাড়া শীতকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মুখে ঘা বেড়ে যায়।
এমন কষ্টদায়ক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহার করে মুখের ক্ষত অনেকটাই সেরে যায়। ঘরোয়া উপায়ে মুখের ঘা সারানোর ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-
মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সাথে অল্প পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে ক্ষত জায়গায় লাগিয়ে মুখের ঘা সাড়ানো যায়।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেল মুখের ঘা দূর করে এবং মুখের ভেতরের ব্যথা ও যন্ত্রণা উপশম করে। দিনে দুবার মুখের ভেতরে অ্যলোভেরার রস ব্যবহার করে মুখের ঘা সারিয়ে তুলা যায়।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে ও মুখের ঘা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।তুলসি পাতার রস খেলে মুখের ঘা নিবারণ হয়। কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
লবণ পানি
হাল্কা কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী।
রসুন
রসুনে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান । যা মুখের ঘা, ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রসুনে আছে অ্যালিসিন নামক উপাদান যা মুখের ঘায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন লাগান।
কমলার রস
ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে ঘা হয়। মুখের ঘা সারাতে বেশী করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবর খান।
টুথপেস্ট
টুথপেস্টে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা কালশিটে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। মুখের ক্ষত স্থানে টুথপেস্ট লাগালে ব্যথা কমে ও জ্বালাপোড়া সেরে যায়।
সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম