অন্যধারা ডেস্ক : নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখতে চুলের সৌন্দর্য্য ধরে রাখার বিকল্প নেই। তাই চুল নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। চিন্তার মূল কারণ হচ্ছে চুল পড়া। নারী বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। শীতকালে তো চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নতুন চুল গজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সবাই।
নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার আর চুল পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাবে। চলুন তবে জানা যাক কিভাবে চুল এর যত্ন নিলে চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজাবে।
চুল সুন্দর রাখতে খাবারের তালিকা তৈরিতে মনযোগী হতে হবে। কিছু খাবার রয়েছে যা ভেতর থেকে পুষ্টি সরবরাহ করে আমাদের চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে যেমন- ডিম, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার, মাছ, সবুজ শাক সবজি, ভিটামিন সি যুক্ত ফল, গাজর, পাকা টমেটো, আমলকী, শসা, পেয়ারা, পেঁপে ও কমলা, অ্যালোভেরা, পনির, দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি
ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন : ১/ সকালে ঘুম থেকে উঠেই চুল আঁচড়াতে হবে। নাহলে চুলের জট থেকেই যাবে। আর এই জটবাঁধা চুল আছড়ালেই চুল কাটতে শুরু করে। ২/ বড়ো দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। তানাহলে চুল আঁচড়ানোর সময় টান পড়লে চুল কাটতে থাকে। ৩/ নিয়মিত চুল ধুয়ে নিতে হবে। যাদের নর্মাল চুল তারা একদিন পর পর চুল ধুয়ে নিতে পারে । যাদের তৈলাক্ত চুল তাদের প্রতিদিন চুল ধুয়ে নিতে হবে। ৪/ ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না। ভেজা চুল নরম থাকে তাই নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছতে হবে। ৫/ চুল নরম ও মসৃণ থাকে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। ৬/ অনেকেই চুলে তেল ব্যবহার করে না। শ্যাম্পুর পাশাপাশি চুলে তেল দিতে হবে। শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরাতে, চুলের ঝড়ে পড়া রুখতে ও চুলকে রেশমী ও মসৃণ করতে তেলের বিকল্প নেই। ৭/ অকারণে হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে বারবার হিট নেওয়া , চুলে হেয়ার কালার করা, চুলের স্টাইল বা ফ্যাশনে অধিক কেমিক্যাল না ব্যবহার করাই ভালো। ৮/ উষ্ণ তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে।উষ্ণ তেল মালিশে যেমন চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায় তেমন চুলের গোড়া ও শক্ত হয়। ৯/ চুলের যত্ন নিতে নারকেল তেল, আমন্ড ওয়েল,অলিভ ওয়েল, ক্যাস্টর ওয়েল যেমন অনবদ্য তেমনি মেথিরপ্যাক, অ্যালভেরা হেয়ারপ্যাক, টকদই হেয়ারপ্যাক এগুলি খুবই কার্যকরী।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন :
নারিকেল তেল : নারিকেল তেল চুলকে খুব ভালো ময়শ্চারাইজার করে। নারিকেল তেলে কয়েকটি মেথি দিয়ে ফুটিয়ে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রেখে তারপর শ্যাম্পু করলে চুল নরম হয়। চুলের গোড়া শক্ত ও হয়।
আমন্ড ওয়েল : অলিভ ওয়েলের সাথে আমন্ড ওয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে মাসাজ করলে। চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
অলিভ ওয়েল : অলিভ ওয়েলে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের পুষ্টি জোগায়। এছাড়া এতে ভরপুর ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার অলিভ ওয়েল মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করা উচিত।
ক্যাস্টর ওয়েল : এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। সারারাত ক্যাস্টর ওয়েল মেখে পরের দিন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিলে খুব ভালো হয়। এছাড়া ক্যাস্টর ওয়েলের সাথে ভিটামিন ই বা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার মাখলে ভালো ফল হয়।
তিলের তেল : তিলের তেল চুলের কন্ডিশনিং করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া খুসকি কমাতে হটওয়েল ট্রিটমেন্টে তিলের তেল ব্যবহার করা হয়।
অন্যধারা/সাগর