কাজী জুন্নুন হোসেন
ছুটির ঘণ্টা
যদি বেঁচে থাকি, আবার মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে ঘুরে বেড়াবো
যদি মরে যাই তবে মায়ের শাড়ির আঁচল হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে বাবার হাতের ভরসার লাঠি হবো।
যদি মরে যাই তবে বাবার হাতের পবিত্র তজবি হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে সোনা ফসল ফলানো, কৃষক হবো।
যদি মরে যাই তবে কৃষকের গোলাভরা ফসল হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে আবার স্কুলের মাঠে ধুলো উড়াবো,
বন্ধুদের সাথে ক্লাস পালাবো।
যদি মরে যাই তবে স্কুলের প্রতি শেষ ক্লাসের,
ছুটির পাগলা ঘণ্টা হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে প্রেমিকার প্রেমে উন্মাদ হয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষ্য দেবো।
যদি মরে যাই তবে প্রিয় (প্রেমিকা) তোমার চুলের খোপা হবো আর তোমার খোপায় রক্ত জবা হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে আবার আমি কবি হবো।
যদি মরে যাই তবে কবির হাতের কলম আর কবির খাতায় কবিতা হবো।
যদি বেঁচে থাকি মসজিদের আজান দেয়া মুয়াজ্জিন হবো।
যদি মরে যাই তবে ঐ দূর হতে ভেসে আসা আযানের ধ্বনি হবো।
যদি বেঁচে থাকি তবে বাংলাদেশের খুব সাধারণ এক নাগরিক হবো।
যদি মরে যাই তবে আমিই বাংলাদেশ হবো।
গল্প যদি শেষ হয়ে যায় কভু,
তবে গল্পের শেষে, শেষের কবিতা হবো।
এমনি করে অমর হয়ে তোমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবো।
সাপ্তাহিক অন্যধারা/১ মে-২০২০/জেডএন