জ্ঞানের মাশুল
আশরাফ মির্জা
জ্ঞানের সীমার নাইকো শেষ
মেধাবীরা করে যায় অভিনিবেশ
তবু বহু কিছুই থাকে অজানা,
বিজ্ঞানীরা খাটায় মেধা-ক্লেশ
তবু জুটে যায় অজ্ঞানীর শ্লেষ
ভাগ্যে তাদের স্বীকৃতি মিলে না।
কোপার্নিকাস বলেন সবার আগে
‘পৃথিবী ঘোরে সূর্যের চারদিকে’
সেই মত প্রতিষ্ঠিত বিশ্বজোড়া
বিশ্বাসে প্রত্যক্ষ প্রমান লাগে
অনেকে থাকে ঘোরের পাকে
দিয়েছে শাস্তি গোঁরা শাসকেরা।
মহাত্মা হ্যনিম্যান তেমন একজন
চিকিৎসায় আনেন নতুন ধরণ
নাম রাখেন তার ‘হোমিওপ্যাথি’,
হয়ে নিজ দেশ হতে বিতাড়িত
ভিন দেশে গিয়ে হন প্রতিষ্ঠিত
সেই জ্ঞানে দেখান তেলেসমাতি!
এমন উদাহরণ ভুড়িভুড়ি আছে
কেউ আগে কোথাও কেউ পিছে
পড়েছেন বিপাকে অনেক জ্ঞানী,
যাহারে ভবিতব্য যে পথে টানে
কেউ তা আগে থেকে না জানে
নেয় পরিণতিরে সকলেই মানি।
নিরলস সাধনা আর শ্রম দিয়ে
নিজ সম্পদ পর হিতে বিলিয়ে
করে যাচ্ছেন মেধাবীরা আবিষ্কার,
বিদায় হন ধরায় বিড়ম্বনা নিয়ে
কখনও বা দেশত্যাগে বাধ্য হয়ে
স্বীকৃতি জোটে না কপালে সবার।
যুগে যুগে আসেন মনীষী কত
আমাদের জন্য আশীষ সতত
সবার সমাপ্তি হয় না সুখের,
বৈরী আচরণ অনেকে দেখেন
জীবনে ভোগান্তি তারাও সহেন
এমন অধ্যায় হয় ইতিহাসের!