জয় বাংলা
সুশান্ত হালদার
দেখেছি আমি বৃক্ষের পাতায় অশ্রুজল
আজ ওরা বেদনার্ত সন্তপ্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত।
যে পিতার কোল বেয়ে বেড়ে উঠেছিলো তরতর করে
আকাশপানে, সেই পিতার বক্ষ আজ বিদীর্ণ
একদল বিপথগামী দেশদ্রোহী শত্রুর গোলার আঘাতে!
তাই তো বৃক্ষের অশ্রু ঝরে পড়ছে
বিন্দু বিন্দু শিশির হয়ে ঘাসের ‘পরে।
আজ পনেরোই আগষ্ট, শোকাবহ এই দিনে
বাংলার আকাশও মুখ লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে
লজ্জায় ঘৃণায় আজ আকাশও মর্মাহত
ডুকরে ডুকরে কাঁদে,
কান্নার ধারা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে।
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
কতো গান গাইতো সকাল দুপুর সন্ধ্যেবেলা
আজ তারাও নিশ্চুপ কারণ ওরাও আজ শোকাভিভূত
বীণার তার ছিঁড়ে গেছে বিষাদ সিন্ধুর বিষাদে।
দেখেছো বন্ধু! পিতার রক্তাক্ত মুজিব-কোট
যে কোট গায়ে তিঁনি ঘুরে বেড়াতেন সারা পৃথিবী
আমিও সেই অত্যাশ্চর্য মুজিব-কোট পরিধান করি
যখন শত্রুর বন্দুকের নল তাক করে আমার দিকে
আমিও ‘জয় বাংলা’ বলে
সূর্যের থেকে ছিনিয়ে আনি কিছুটা অগ্নি।
চেয়ে দেখি পিতার হাত আমার কাঁধে
বলছে – ‘ভয় কিসের,এগিয়ে যা জয় বাংলা বলে’।