অন্যধারা ডেস্ক
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার । তিনি বলেন, ফেসবুকও লাভবান হবে ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে। তিনি ফেসবুককে বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর বিটিআরসি মিলনায়তনে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা ও টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন এবং বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ফেসবুকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হেড অব কানেক্টিভিটি টম সি ভার্গিস, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রহমান ও বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অফিসার তৈমুর রহমান ।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা ও টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপের উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ বিকাশে আমরা ত্রিমাত্রিক মাইলফলক অর্জন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তা বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর।
মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরসহ ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বস্তুতপক্ষে জনগণকে যদি সেবা দেই তবে তাদের প্রয়োজনের প্রতি নজর রাখতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হতে পারবে না। অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে দায়িত্ব পালনও সঠিক হবে না।
তিনি কোভিডকালে মানুষের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্পেকট্রাম বরাদ্দ ও মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় সম্প্রসারণে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, করোনাকালে টেলকো কোনোভাবেই সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনি তারা দেখেছে দেশ ও জাতির স্বার্থ।
তিনি মোবাইলে বাংলাভাষায় এসএমএস প্রবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক কাজ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাভাষার জনগণের সঙ্গে জনগণের ভাষায় কথা বলতে চাই। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলায় এসএমএসের মূল্য অর্ধেকে নির্ধারণ করার কথা তিনি জানান।
মন্ত্রী ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের সাইডলাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন,বিশ্বের দশম ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশ হিসাবে পরিচিত গত তিন-চার বছর আগেও তা ছিল না। ফেসবুকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারা এখন আমাদের প্রতি অনেক সহযোগিতামূলক আচরণ করছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা ডিজিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল আছে। আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো না থাকলে তা সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তত বাড়বে। এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির দিক থেকে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে।অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা ও টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন. ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন সেবার সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সবসময়ই থাকবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রযাত্রায় কানেক্টিভিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন,
অন্যধারা/এমকেএ