তালেবান ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর কি বলছেন বিশ্ব নেতারা

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে  আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে। দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে আবরো ক্ষমতায় আসলো তালেবান ২০২১ সালে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কি বলছে বিশ্ব নেতারা জেনে নেওয়া যাক।

যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আরো এক বছর বা পাঁচ বছরও মার্কিন সেনা যদি আফগানিস্তানে থাকতো, তাহলেও কোনো ফারাক হতো না। আফগান সেনারাই নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারল না। অন্য দেশের অসামরিক বিরোধ মেটাতে আমেরিকার সেনা অনন্তকাল ধরে সেখানে থাকবে এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

পাকিস্তান 

আফগানিস্তান দাসত্বের শেকল ভেঙেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার মার্কিন সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমবার এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরনের শেকল ভাঙা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে কখনও বড় কিছু অর্জন করা যায় না।

চীন

তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে চীন। সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এ ঘোষণা দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।রবিবার রাতে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি দেশ ছেড়ে পালানোর পর সোমবার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হুয়া চুনিং। এ সময় তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ক আরও গভীর করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের সময় থেকেই বেইজিং তালেবানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। চীনের মতো একটি বৃহৎ শক্তির সমর্থন দলটির নেতাকর্মীদের কাবুল দখলে আরও উজ্জীবিত করে তোলে আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ৭৬ কিলোমিটারের সীমান্তও রয়েছে।

সৌদি আরব ও আমিরাত

সৌদি আরব তাদের দূতাবাসের সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। সরকারি সংবাদসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, কাবুল থেকে সব দূতাবাস কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, তারা এখন পশ্চিমা দেশগুলির কূটনীতিক ও নাগরিকরা যাতে নিরাপদে নিজেদের দেশে পৌঁছে যেতে পারে, সেই সহযোগিতা করছে। কাতার জানিয়েছে, আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়ায় তারা খুশি।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই হোয়াইট হাউসের প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানের বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করতে এবং তাদের সরঞ্জাম বাবদ যুক্তরাষ্ট্র এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০০১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যয় ৭৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সব মিলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয় ৮২ হাজার কোটির বেশি মার্কিন ডলার।

অন্যধারা/সাগর

- Advertisement -

আরো পড়ুুর