পুরুষোত্তম
রেজাউদ্দিন স্টালিন
জীবন জাগাতে এসে বিস্ময় জাগালো চারিদিকে
কি আশ্চর্য দীপ্তি তার চোখ যেনো দিগন্তের নীল,
চুল তীব্র বোশেখের ব্যাকুল বাতাস ছুঁয়ে আছে
যেনো এখনি উড়িয়ে নেবে দূরে জন্মান্ধ সময়।
আঙুলের মুদ্রাগুলো যেইভাবে বাঁশির বিবরে
ধরে রাখা, যেনো কেউ অন্ধকারে আলোর পিপাসা
নিয়ে পৃথিবীর গলিপথে খুঁজে ফিরছে জীবন।
কণ্ঠের কিনারে তার সুস্পষ্ট নদীর চিহ্ন রেখা
যেনো লোভী বণিকের তীক্ষ্ন তরবারি ঢুকে গেছে
আর জলদস্যুদের মতো সমুদ্র মন্থন করে
সে এনেছে রত্নরাজি অগ্নি আর ক্রোধের হীরক।
সন্ত্রন্থ বণিকুল আসে না এ জলপথে আর
জীবনের অন্বেষক এ দ্রাবিড় সন্তানের ভয়ে
পলায়নপর দ্যাখো সম্পদ লুণ্ঠনকারী যত
নীলকর শ্বেতহস্তী রক্তভূক বুভুক্ষু বণিক।
জীবন জাগাতে এসে নীরব নদীতে ঢেউ তুলে
বিস্ময় জাগালো যুবা প্রস্তরিত পৃথিবীর বুকে
উচ্চারিত হলো অশ্রু, স্বজাতির বেদনার বাঁশি
অস্তিত্বের রন্ধ্রপথে ঢুকে গেলো সুরের সিম্ফনি।
আজ দ্যাখো নৃত্যরত পৃথিবীর পথে পথে যত
জীবনের অন্বেষক মানুষের ব্যাপক বিদ্রোহ
কিন্তু বিস্ময় জাগানো সেই আশ্চর্য পুরুষোত্তম
জীবনের সিংহদ্বারে নিশ্চুপ দাঁড়ানো কোনো আজ।