বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে কবি হাসিনা ইসলাম (সীমা) এর লেখা পরকীয়া

এবারের অমর একুশে গ্রন্হ মেলা ২০১৯ এ ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে কবি হাসিনা ইসলাম (সীমা) এর লেখা পরকীয়া। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর অন্যধারা পাবলিকেশন্সের ৩৫৯ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

হাসিনা ইসলাম সীমার জন্ম: ২৬ডিসেম্বর।
পিতা: বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম, মাতা: তহমিনা ইসলাম। পৈতৃক নিবাস: গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে। তিনি পিতা-মাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। শৈশব, কৈশোর ও বর্তমান কাটছে রাজধানী শহর ঢাকায়। বাবার কাছে তাঁর শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে। আজও অব্দি তিনি বাবার হাত ধরেই ভারতে পি.এইচ.ডি করছেন। সাহিত্যানুরাগী মায়ের অনুপ্রেরণায় স্কুল জীবন থেকেই তিনি স্কুল ম্যাগাজিন, দেয়াল পত্রিকা এবং পরবর্তীতে কলেজ ম্যাগাজিন, ইউনিভার্সিটি জার্নাল, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন, মাসিক ভিন্নমাত্রাসহ বহু সংখ্যক দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকায় অসংখ্য বার কবিতা, গল্প, ফিচার, গবেষণাধর্মী ও বিষয় ভিত্তিক লেখা লিখে যাচ্ছেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে সর্বপ্রথম তৎকালীন ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রায়’ তার কবিতা প্রকাশিত হয়। ভারতের বিভিন্ন জার্নাল ও সাহিত্য পত্রিকায় তিনি লিখছেন নিয়মিত। এইচ.এস.সি পাশের পর পর তার বিবাহিত জীবন শুরু হওয়া সত্বেও স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতায় তিনি বংলা সাহিত্যে অনার্স সহ মাস্টার্স, বি.এড ও এম.এড(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম.বি.এ(এইচ.আর.এম), এল.এল.বি (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এ ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর নারী চরিত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। শিক্ষা এবং শিক্ষকতা পেশার উপর স্কুল-কলেজের নিবন্ধন সহ অসংখ্য সার্টিফিকেট কোর্স তিনি করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষা ও সাহিত্যের উপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করেছেন। হাজী শরিয়তুল্লাহ্ ডিগ্রি কলেজের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন। তিনি ‘বংলাদেশ শিক্ষক পর্ষদ’ এর সদস্য। এছাড়াও পাশাপাশি তিনি “এঅঈ-টঘও-এখঙইঅখ ঝঐওচচওঘএ খঞউ”এর উরৎবপঃড়ৎ(ঐজ) হিসেবে রয়েছেন। তিনি শিপিং এর উপর দুবাই ট্রেনিংও সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া ভ্রমণ করেছেন তিনি বহুবার। এছাড়াও থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়শিয়া, দুবাই, সৌদি আরব, নেপালসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। তিনি স্বপরিবারে ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৮ তে ওমরা হজ্ব এবং ২০১৭ তে পবিত্র হজ্জ্ব পালন করেছেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ‘বনানী সোসাইটি’ এর আজীবন সদস্য।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জননী।

যৌথ কাব্যগ্রন্থ: ১। কাব্যের সমাহার ২। কবিতায় ভালোবাসা ৩। কাব্য প্রেম ৪। হ্নদয়ে রক্তক্ষরণ ৫। রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ ৬। কবিকোষ ৭। রক্তাক্ত রোহিঙ্গা ৮। নতুন সকালের কাব্য ৯। কবি ও কবিতার ভান্ডার ১০। কাব্যমাত্রা ১১। দশ দৃষ্টির সমন্বয় ১২। কাব্যতরীর ভেলা

একক কাব্যগ্রন্থ: ১। আমি সীমন্তনী ২। পরকীয়া

যৌথ গল্পগ্রন্থ : ১। গল্পগ্রন্থ

একক গল্পগ্রন্থ : ১। অস্ফ‚ট কলি অলখে হারায় ২। পরকীয়ার অনল নিভৃতে জ্বলে

হজ্ব বিষয়ক বই: ১। হজ্ব কাফেলা

অনুবাদ : মিশরের লেখক গড়যধসবফ ঝরফফরয় ঊষ-গরহংযধরি এর শিশুতোষ গল্পগুচ্ছের বাংলা অনুবাদ।

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: ১। শের-ই-বাংলা সম্মাননা ২। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে স্বর্নপদক ৩। ব্যজ্ঞনবর্ণ পাবলিকেশন পুরস্কার; কলকাতা ৪। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পুরস্কার ৫। স্বাধীন বাংলা শিশু-কিশোর পুরস্কার ৬। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ পদক সহ আরও বেশ কিছু পুরস্কার রয়েছে।

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here