বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে কবি সৈয়দ আজিজের সূর্যকান্ত

- Advertisement -
- Advertisement -

এবারের অমর একুশে গ্রন্হ মেলা ২০১৯ এ ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে কবি সৈয়দ আজিজের সূর্যকান্ত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর অন্যধারা পাবলিকেশন্সের ৩৫৯ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

সৈয়দ আহমদ আলী আজিজ একজন অগ্রসর চিন্তার মানুষ। তাঁর স্বভাবের একটি দিক হলো, তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলেন না বা লেখেন না। পড়াশোনার প্রতি তাঁর আগ্রহ বিস্ময়কর। সততা ও স্বচ্ছতা তাঁর পথচলার প্রধান শক্তি। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকা তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সব ধরনের জ্ঞানের বিষয়েই তাঁর দারুণ আগ্রহ।

ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, আধুনিক বিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা, মহাকাশবিদ্যা ইত্যাদি তাঁর পাঠের মূল আকর্ষণ। এ ছাড়া প্রবন্ধ কবিতা তো আছেই। ‘সূর্যকান্ত’ সাহিত্য জগতে তাঁর মেধা ও শক্তিমত্তা আবারো প্রমাণ করে। কবি দেশ-বিদেশে অনেক ভ্রমণ করেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে- সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি বা প্রধান অতিথি হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন বহুবার। তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশে। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা সতেরো।

পিতা মরহুম সৈয়দ মতাহীর আলী ছিলেন সিলেটের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবী। তিনি হজরত শাহ্জালাল (র)-এর সহযাত্রী সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র) বাগদাদীর অধস্তন পুরুষ। মৌলভীবাজারের প্রতিষ্ঠাতা এবং আসামের প্রথম মুসলমান মুনসেফ (জেলা প্রশাসক) মরহুম মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহর প্রপৌত্র। সৈয়দ আজিজের মাতা মরহুমা আজিজুন্নেছা খাতুন চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলার প্রথম শিক্ষিত মুসলিম মহিলা।

১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৪০ সালে লেডি কার গার্লস কলেজ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াশোনা করেন। সৈয়দ আজিজের সহধর্মিণী সৈয়দা দিলারা আজিজ গৃহিণী। তাঁদের এক পুত্র ও তিন কন্যা দেশ-বিদেশে বসবাসরত এবং প্রতিষ্ঠিত। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ তে সুচিন্তিত পাঠক মহলের চাহিদা মেটাতে মুর্দ্রণ হতে যাচ্ছে সূর্যকান্ত নামক কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থটি ব্যাকরণ- প্রকরণের রীতি মেনে কবি রচনার ক্ষেত্রে সময়োপযোগী মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট অঙ্কনের ছান্দসিকভাবে সময়োপযোগী ভাষার বয়ানে হৃদয় ছুঁয়ে যাবার মতো সুখপাঠ্য একটি দালিলিক উপস্থাপন। বাংলা সাহিত্যের ১৪০০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাগানে গ্রন্থটি শুধু পাঠক প্রিয়তাই পাবে না, নিশ্চিত একটি ফুটন্ত বসরাই গোলাপের সুঘ্রাণে আমোদে আহ্লাদিত করবে মননশীল পাঠকের হৃদয়। পৃথিবীর অধিকাংশ সাহিত্যের আদিরূপ গীতলরসে আচ্ছাদিত বলেই মানুষের মুখে মুখে চর্চিত হয়ে হৃদয়ের ভাবাবেগ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিচারে ভাষাশৈলী, ভাব, চিত্রকল্প কিংবা অলংকরণের ব্যবহারে কবি সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন নিঃসন্দেহে।

- Advertisement -

আরো পড়ুুর