বানভাসি মানুষের জন্য শিল্পীদের আর্তনাদ ?

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক

ভারত থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দী হাজারো মানুষজন। বাড়িঘর, বিমানবন্দর, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গুলোতেও পানি ঢুকে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছে বানভাসি মানুষজন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেট বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। বাকি তিন জেলার শহরের কিছু উঁচু স্থান,পাহাড়ি এলাকা এবং ভবন ছাড়া সবখানে এখন পানি। আগামী তিনদিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সিলেটের এমন ভয়াবহতার খবর জানান দিচ্ছে নেটদুনিয়াও। সবাই উদ্বেগ এমন পরিস্থিতি নিয়ে। এরই মধ্যে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। বসে নেই শোবিজ অঙ্গনের শিল্পীরাও। তাদের মনও নাড়া দিয়েছে এমন ভয়াবহ চিত্র দেখে। তারাও ছুটছে এসব বানভাসি মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে একটু ঢুঁ দিলেই দেখা যায়, সিলেটের পরিস্থিতি নিয়ে শোবিজের শিল্পীরা সবাইকে বারবার আহ্বান করছে এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আবার এরই মধ্যে সিলেটের পাশে দাঁড়াতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেক শিল্পীরা। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম আসছিলাম। গাড়ি নিয়ে পানির মধ্যে আটকা পরেছি। কি বলব, কিছু বলার নেই।

এখানেই এই অবস্থা আর সিলেটবাসীর কি যেনো হাল! সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়ানোর জন্যই চট্টগ্রামে এসেছি। এখানকার বন্ধু-বান্ধব ও কিছু সংগঠনের কথা বলেছি। আর এ ছাড়াও গত দুদিন ধরে আমরা নকীব ভাই (নকীব খান), জুয়েল (হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল), বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার), গীতিকার জঙ্গি ভাই (শহীদ মাহমুদ জঙ্গি), আসিফ ইকবাল, জুলফিকার রাসেলসহ অনেকেই ক’দিন ধরে আলোচনা করছি, কি করতে পারি? আমরা সবাই মিলে কিছু করতে চাই।’তিনি আরও বলেন, ‘এখানে একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। আর করলেও সেটা কিছুই হবে না। তাই এখানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। কষ্ট লাগে আমরা যারা এখন এ বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঁঝাপ করছি অথচ এই কাজটি করা দরকার ছিল তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি, তারা এখনো নিশ্চুপ। যাই হোক, এখন সিলেটের জন্য কিছু করা দরকার; আগে তাই করি। আর নিতে পারছি না, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও বানভাসি মানুষদের কষ্ট।’খল অভিনেতা ডিপজল বলেন, ‘আমরা শিল্পীদের পক্ষ থেকে সিলেটের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দ্যোগ নিচ্ছি। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আজ আমি মানিকগঞ্জে যাচ্ছি। সেখানর বন্যা পরিস্থিতিও খারাপ। সেখানে মানুষজনদের পাশে দাঁড়াবো। এটা আমার একার উদ্যোগ। আর সিলেট নিয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করব। আমি দেশের বিত্তবানদের আহ্বান করব আর চুপ থাকবেন না প্লিজ। সিলেটের কান্না আর নেওয়া যাচ্ছে না। আপনারা এগিয়ে আসুন। দয়া করে, এগিয়ে আসুন।’চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি যত দেখছি তত মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট শিশু ও অসহায় মানুষদের মুখ বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমরা শিল্পীরা যদি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসে থাকি, তাহলে নিজের বিবেকের কাছে নিজেই অপরাধী হয়ে যাবো। আমাদের কিছু করা দরকার। আমি বিষয়টি নিয়ে পরিচিত অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। তারাও বেশ ইতিবাচক, এখন সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে কি করা যায়।’

এই চিত্রনায়িকার সঙ্গে একমত পোষণ করে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, ‘এখানে একার পক্ষে কিছু সম্ভব না। আমি চাইলেও করতে পারবো না। সেখানে এখন সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। আমি আহ্বান করব, সিলেটবাসীর জন্য একটি ফান্ড গঠন করা হোক, যেখানে সমাজের সবাই অর্থ, পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

দৈনিক অন্যধারা/ এইচ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর