বিষের পেয়ালা
সুশান্ত হালদার
সক্রেটিস, কী নির্বাক তোমার অভিব্যক্তি
দৃঢ়চেতা অথচ কারো প্রতি আনোনি অভিসম্পাত
মৃত্যু আসন্ন বলে করোনি দুঃখ প্রকাশ
ঋণের কথাটা বলেছো শুধু অকপটে বারংবার
সত্য সুন্দর বলে মৃত্যুকেই করেছো আলিঙ্গন!
ফাঁসির কাষ্ঠে বসে শুধু ভাবি কবে হবে মৃত্যু আমার?
দ্বাররক্ষক সেদিনও বললো-
যাকে ভালোবেসে সাধনা করেছো কবিতার
সেই দিয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তোমার,
শাণিত কলমে কেনো যে লিখেছিলে -তুচ্ছ জীবন
যদি নারী হয় রেটলকে মরুভ‚মি সাহারার!
দ্বারপাল সেদিন দেখিয়েছিলো অমাবস্যার ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ
সুকান্তের কথা ভাবতেই পোড়া রুটিতে চেখেছিলাম স্বাদ
সমস্ত অন্তরায় দেখলাম শুধু হেমলকের অবসাদ
অনুভ‚তিহীন দেহ এখন খুঁজে পায় না আর কবিতায় শব্দের অনুপ্রাস।
বিষের পেয়ালা হাতে তবুও বসে থাকি,
যেনো নৈবেদ্য পূজার,
যদি মা হেরা বলে-সিদ্ধ তোর কবিতার দাঁড়ি ডট কমা
তবে রাজদণ্ডাদেশ নয়, স্বইচ্ছায় পান করবো বিষের পেয়ালা তোমার।