ভালোবাসার বাহুডোরে ।। মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর

সকাল থেকেই মানিকের মনটা ভালো নেই। কী যেন এক দুঃচিন্তায় ভারাক্রান্ত মানিক। হতাশার সাগরে সাঁতার কাটছে যেন ওর মনটা। স্কুলে যেতেও ওর কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। স্কুলের মেধাবী ছাত্র মানিক। নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মানিকের ব্যবহার অনেক ভালো। একজন আদর্শ সন্তান হিসেবে মানিকের জুড়ি মেলা ভার। স্কুলেও মানিকের তুলনা মানিক নিজেই। অথচ আজকে সেই মানিকের বাড়ির কারো সাথেই বনিবনা হচ্ছে না। কিছুতেই ওকে স্বাভাবিক ভাবতে পারছে না কেউই। কী যেন হারিয়েছে মানিক। শুধু আনমনা হয়ে বসে আছে পড়ার টেবিলে। কেউ ওর কোন ভিউ বুঝতে পারছে না। না

দাদা ভাই, না বাবা, না মা, না বোন। মানিকেরা দুই ভাই-বোন। বোন আতিকা জহির বড়। মানিক ছোট। সকাল থেকে কোন
নাস্তাও খায়নি মানিক। একটি ডিমও না। না একটা বিস্কুট। কিছুই না। ওর এমন ভাব দেখে ভীত হয়ে পড়েছেন ওর বাবা মা, বুবুজান, দাদাভাই নিজেও। বাড়ির অন্যরাও চিন্তিত। এমনই এক সময় পথশিশু কামালের আগমন ঘটে।
: একমুঠো খাবার দিন।
: খাবার নাই। দূর হ। যখন তখন যত্তোসব উৎপাত। আর ভালো লাগেনা এসব ঘ্যানঘ্যানি।
: আমার কেউ নাই। না বাবা, না মা, না ভাইবোন।
: তো কী হইছে তাই ? ভাগ এখান থেকে। আরেক বাড়ি যা। সেখানে গেলে খাবার পাবি।
: দেন না একমুঠো খাবার।
: বলছি না, নাই। যাবি তুই।
: আমার পেটে খুব ক্ষিধে যে।
: তাতে আমার কী?
: অভিভাবকের আদর চাই।
: মানে?
: হ্যাঁ। অভিভাবকের আদর চাই। টোকাই হিসেবে এটা পাওনা অধিকার। কেন দিবেন না আপনি ?
: কেন, তোকে কি কৈফিয়ত দিতে হবে

আমার?
: না।
: তবে?
: আমার দাবি।
: কীসের?
: নীতি-নৈতিকতার।
: কীসের নৈতিকতা?
: আপনার কাছেই শিখেছি।
: মানে?
: এ বিষয়ে অনেক বক্তব্য শুনেছি আপনার।
: কোথায়?
: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
: তাতে কী?
: আপনার বক্তব্যের বাস্তব প্রয়োগ চাই।
: এখনই ভাগবি তুই।
: না।
:কেন যাবিনা তুই। তোর কীসের অধিকার এখানে?
: জানতে চাইলে বলতে পারি।
এবার একটু ভাবতে চেষ্টা করছেন বাড়ির কর্তা জহির উদ্দিন বাবর সাহেব। কীসের এতো জোর ছেলের। কার কাছে ওর এসব দাবি। কেন দাবি। কীসের দাবি। কীভাবে দাবি করছে ও। ভাবনার সাগরে ডুবে যাচ্ছে জহির সাহেব। সরকারি উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা জহির সাহেব বেজায় অহংকারী লোক। মানবতার থোরাই কেয়ার করেন তিনি। কিন্তু হলে কী, পদাধিকারবলে বিভিন্ন সময়ে অনেক প্রোগ্রামে বক্তব্য দিয়ে থাকেন তিনি। টোকাই কামাল এসব বক্তব্য শুনেছে অনেক সময়। টোকাইদের নিয়ে জহির সাহেবের অনেক সুন্দর সুন্দর আলোচনাও শুনেছে কামাল। তাই ওর দাবি- শিশু অধিকারের। দাবি খাদ্যের নিরাপত্তার। একমুঠো খাবার অধিকারের। একটি গায়ের জামার। শীতের কাপড়ের।

জহির সাহেব ভাবছেন আপন মনে। একান্ত আপনার করে। গভীর ভাবে। অত্যন্ত সন্তর্পনে। খুব ভাবুক হৃদয়ে। জহির সাহেবের ভাবনার এমন এক সময়ে টোকাই কামালের আবারও আবদার- একমুঠো খাবার দিন। পেটে খুব ক্ষিধে আমার। আমার খাবার অধিকার চাই। আমার জীবন ধারণের অধিকার চাই। পড়াশোনার অধিকার চাই। চিকিৎসার অধিকার চাই। আপনার কিশোর সন্তানের মতন করে বাঁচতে চাই। একটানা এসব বকেই যাচ্ছে টোকাই কামাল। যেন কারো শিখানো বুলি। একান্ত আপনার করে বলছে টোকাই। অনাথ পথশিশু কামাল।

এবার আরেকটু ভাবছেন জহির সাহেব। একান্ত আপনার করে। গভীর অনুভূতির সাথে। পরম আদরের সাথে। একটু ভাব গাম্ভির্যতার সাথে। আপনার বিবেকবোধ জাগ্রত করে। জহির সাহেব যখন এমন করে ভাবছেন, ঠিক তখনই মানিকের গলার আওয়াজ শুনতে পান তিনি। মানিক জহির সাহেবের কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। একেবারে পাশে। বাবার বাহুডোরে ঠায় দাঁড়িয়ে মানিক-
: খানা খেয়েছ বাবা?
: জি¦, না।
: কেন?
: খাইতে ইচ্ছে করছে না।
: কেন বাবা?
: জানি না।
: কী বলছ এসব, মানিক?
: সত্যি বলছি বাবা।
: কীসের সত্যি?
: তুমি এসব জানতে চেওনা না, বাবা।
: তার মানে?
: তোমার যে এত্তোকিছু বুঝবার সময় নাই, বাবা।
: কী বলছ, মানিক?
: হ্যাঁ, যা সত্যি তাই বলছি, বাবা।
: যেমন?
: বুঝাতে পারব না।
: না পারার কী আছে, মানিক?
: আমি ছোট তাই। আমার অনেক কথাই তুমি বুঝতে পারবে না। এর পরেও জানতে চাইছ, যার জবাব দিতে গেলে আমার ভুল হতে পারে। তাই বলেছি আর কিছুই শুনতে চেও না, বাবা। আমি এর কিছুই বলতে চাচ্ছি না আর।
জহির সাহেব এবার কিছুটা হোঁচট খেলেন। সন্তানের কাছে আর পেরে উঠতে পারছেন না তিনি। তাই ছেলেকে কাছে টেনে নিলেন। পরম আদরে পাশে বসালেন। এবার জানতে চাইলেন তার আকুতি। একান্ত আপনার করে। পরম আদরের সাথে। তিনি সন্তানকে অনুরোধ করছেন- তুমি বুঝিয়ে বল বাবা, আমি তোমার সব কথা বুঝতে চেষ্টা করব। না বুঝতে পারলে তুমি আবারও বুঝিয়ে দেবে। আমি তোমার সব ন্যায়সংগত দাবি মেনে নিতে রাজি আছি, মানিক!
: তাই?
: হ্যাঁ, তাই। তবে অন্যায় কোন দাবি মানতে পারব না কিন্তু।
: ঠিক আছে। কোন অন্যায় দাবি করব না, বাবা। অনুমতি দিলে আমার বক্তব্য তুলে ধরতে পারি। ভুল হলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমার দাবি ন্যায়সংগত হলে মেনে নিতে হবে কিন্তু!
: বলছিতো মেনে নেব।
: সত্যি, বাবা!
: হ্যাঁ। সত্যি। তিন সত্যি।
এবার মানিক নিজের দাবি তুলে ধরে বলতে শুরু করল-
আমি একজন কিশোর। বয়সে অনেক ছোট। আপনাদের সকলের আদরের ধন আমি। সবদিক থেকেই আমি অবুঝ। যেমন বয়সে, তেমনি শিক্ষা-দীক্ষায়। যেমন বাস্তবতায়, ঠিক তেমনি অভিজ্ঞতায়। যেমন শারিরীকভাবে, ঠিক তেমনি কর্মক্ষেত্রে। যেমন পাঠশালায়, ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনে। জানিনা তারপরেও কেন যেন মনে হচ্ছে, আজকের একটি বিষয়ের দিক থেকে আমি বুঝি আপনাদের চেয়ে একটু বেশি বুঝতে চেষ্টা করছি। একটু বেশি ভাবছি, একটু বেশি বুঝতে চাচ্ছি। আপনাদের চেয়ে একটু বেশিই বুঝি আমার বিবেকবোধ তাড়িত হচ্ছে। আমাকে দংশন করছে। পারিপার্শিক দিক থেকে আমি বুঝি বেশি বুঝতে পারছি। বাস্তবতা বুঝি আমাকে বেশি তাড়িত করছে। পারিপার্শিক জ্ঞান বুঝি আমার একটু আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছে। বাবার চেয়েও, আমার মায়ের চেয়েও। বুবুর চেয়েও, দাদা ভাইয়ার চেয়েও। এমন করে বলেই চলছে মানিক। মানিকের কথাবার্তার আগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারছে না কেউ। কেউ কেউ বলছেন, মানিক বুঝি পাগল হয়ে গেছে। ওর মাথায় কোন সমস্যা হয়েছে বুঝি। ওকে ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে। এসব অনেক কথাই বলছেন পরিবারের কেউ কেউ। তাদের কথাগুলো একান্ত হৃদয়ের কানে শুনছে মানিক। মানিক আর চুপ থাকতে পারলো না। আবারও বলতে শুরু করল মানিক-

আমি পাগল হইনি। আমাকে কোন ডাক্তার দেখানোর দরকার নেই। আজকের বিষয়ে কোন জ্ঞান দিতে হবে না আমাকে। আমার ডাক্তার উপস্থিত আমাদের সকলের সামনে। জ্ঞানের বাতি আমাদের পাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। আমার বিবেকবোধকে নাড়া দিচ্ছে। আমাকে তাড়িত করছে বারবার। আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমাকে সাগরের জলে ভাসাচ্ছে। আমাকে ভাবাচ্ছে। ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে আমার বিবেক। আমি ভাবছি। আমি তাই বুঝতে চেষ্টা করছি। আমি অনুভব করছি আপন করে। আমি আমার মতন করে। আমার ভাবনার পাত্র আমার সামনে। আমাদের সকলের সামনে। মানবতাবোধের সামনে। জানি না আপনারা কী ভাবছেন। কী বুঝতে চেষ্টা করছেন। আমার ভাবনা যদি সঠিক হয়, আমার চিন্তা যদি আপনাদের বিবেকবোধকে নাড়া দেয়, আমার আকুলতা যদি আপনাদের বিবেকের দুয়ারটুকু খুলে দেয় তবেই আমি ধন্য, আমি স্বার্থক, আমি সফল। আমার চিন্তার বিজয় হবে। মানবতার বিজয় আসবে। এভাবে বলেই চলছে মানিক। ওর কোন থামবার লক্ষণ নেই। এবার কিছুটা জাগ্রত হলেন সবাই। বাবা, মামনি, দাদা ভাই আপুজি। পাশের অনেকেই। টোকাই কামাল নিজেও। এবার কামাল চলে যেতে চাইছে। আর খাবার চাইছে না ও। কামাল যখন চলে যেতে উদ্যত, ঠিক তখনই মানিকের আহবান-
: তুমি যাবে না।
: কেন?
: তোমার কাজ আছে।
: কী কাজ?
: বলছি। তার আগে তোমার পরিচয় দাও ভাই?
: কী লাভ আমার পরিচয় শুনে।
: এমনিতেই। শুনতে পারবো না বুঝি?
: অবশ্যই শুনতে পারবেন।
: তাহলে তোমার পরিচয়টা বলনা ভাই।
: বলছি, শুনুন তাহলে-
কামাল আমার নাম
পাইনা কোন দাম,
পথে-ঘাটে তাই
কাগজ কুড়াই।
: বেশতো। তোমার বাবা-মা নাই?
: জানতে চান? বলছি শুনুন-
বাবা নাই, মাও নাই
নাই যে ভাই-বোন,
টোকাই আমি তাই
খাবার খুঁজি এমন!
আচ্ছা! তুমি লেখাপড়া জানো?
: শুনবেন?
: হ্যাঁ।
: বলছি। শুনুন তাহলে-
কুকুর আমার খেলার সাথী
বিড়াল শিখায় পড়া,
রাতের সময় ইঁদুর ছানা
শোনায় মজার ছড়া।
: আচ্ছা। বেশতো ছড়া কেটে কথা বলতে পার তুমি। কে শিখিয়েছেন এমন সুন্দর সুন্দর ছড়া?
: কেউ না। আমি এমনিতেই বলতে পারি। আমার আবার শিক্ষক আছেন? আর কিছু বলবেন, ভাই? আমি চলে যাব এখন। আমাকে কাগজ কুড়াতে হবে। নইলে রাতে খাব কী? এখনও পর্যন্ত না খেয়েই আছি। ভাগ্য আমার!
: বেশ যাবে।
: তাহলে যেতে দিন।
: একটু দরকার ছিলো ভাই।
: আমার আবার দরকার! ইয়ার্কি তাইনা? একমুঠো খাবার পাইনি যেখানে, যেখানে দাঁড়ানোর ঠাঁই নাই, গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন যে বাড়ি থেকে, সেখানে আবার আমার দরকার? বেশতো। বাপ্কা বেটা। এবার বুঝি আমার খবর হবে, তাইনা? না ভাই। আমি আর থাকতে পারছিনা। এবার দ্রুতগতিতে কামাল বেরিয়ে যেতে চাইলে পাশে এসে দাঁড়ায় মানিক। ওকে বলে- আমি তোমার সবকিছুই আড়াল থেকে দেখেছি। তোমার কথাবার্তাও শুনেছি। খাবার আকুতিও অনুভব করেছি। তোমার ক্ষুধার কষ্টও বুঝতে চেষ্টা করেছি। তোমার সাথে বাবার ব্যবহারও লক্ষ্য করেছি। আমি জানি, তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ। আমিও পেতাম। তবুও তোমার প্রতিভার প্রশংসা না করে পারছিনা। তোমাকে একটি অনুরোধ করব ভাই। তুমি কি আমার অনুরোধ রাখবে?
: অনুরোধ নাকি অনুযোগ?
: ছি:, ভাই। অমন করে বলতে নেই।
: কেন?
: ভালো শোনায় না।
: আপনার বাবার কথাবার্তা? আপনার মায়ের ব্যবহার? আপুর নির্বাক অবস্থান? দাদা ভাইয়ার ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা? অন্যান্যদের নীরবতা?
: দুঃখিত ভাই। আমি তার প্রতিদান দিতে চাই। তুমি চাইলে নিতে পার।
: বেশ। দিন তাহলে।
: সত্যি বলছ?
: হ্যাঁ, সত্যি বলছি।
: শোন তাহলে।
: বলুন।
মানিক বলতে শুরু করল-
আজ থেকে তুমি আমার সহোদর ভাইয়ের মতন। আমার আদরের কামাল। আমার পড়ার সাথী। আমার খেলার সাথী। আমার খাবার সাথী। আমার ঘুমের সাথী। আমার বাবার আদরের কামাল। আমার মা-মনির কলিজার টুকরা। বুবুজানের চোখের পুতুলী। আমার দাদা ভাইয়ের মাদুর পাতা বিছানার মুড়ি-মুড়কি খাবার নাতি কামাল। আমার সহযাত্রী। তুমি পারবে ভাই আমার এসব দাবি পূরণ করতে? তুমি আমার এসব আবদার পূরণ করলে আমি ধন্য হব। স্বার্থক হবে আমার শিশু আন্দোলন। স্বার্থক হবে আমাদের শিশুদিবসের প্রতিপাদ্য। আমার বাবার শিশুদের নিয়ে কথা বলার স্বার্থকতার পূর্ণতা আসবে। আমার দাদা ভাইয়ার ভালোবাসার বিকাশ ঘটবে। আপুজির স্নেহময়ী আদর বৃদ্ধি পাবে। মামনির সোহাগী কোল হবে জান্নাতী বাগান। প্লিজ, তুমি কি পারবে আমার ভাই হতে? আমার বন্ধু হতে? আমার খেলার সাথী হতে? আমার সহপাঠী হতে? সহযাত্রী হতে!-
নির্বাক টোকাই কামাল। কামাল যেন আঁধারে আলো দেখছে। স্বপ্নীল সুখের হাতছানি অনুভব করছে। আলোকের সন্ধান পাচ্ছে। মুক্তির মিছিল দেখছে। অনেক ভেবে জবাব দেয় কামাল–
: জি¦, পারব।
: খুশি হলাম ভাই।
: আমিও খুশি ভাই।
অভিবাদন কামাল। জয় হোক কামালের। বিজয় হোক টোকাইদের। পথশিশুদের। পথকলিদের। এসো ভাই। এসো আমার বুকে। এসো আমার পাশে। আমার সাথে। আমার পড়ার ঘরে। আমার খাবার টেবিলে। আমার ফুলবিছানো ঘুমের বিছানায়। আমার দাদার ঘরে। আপুর ফুল কাননে।
: জি¦। চলুন।
: চল ভাই।
: চলুন।
এবার দুজনে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যায় সামনে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোলাকুলি করতে করতে ওরা এগোয় মানিকের পড়ার ঘরের দিকে। একান্ত আপনার করে। একান্ত আপন হয়ে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে। পিছন থেকে অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছেন বাবা জহির উদ্দিন বাবর। মা সুমাইয়া সিদ্দীকা যেন নির্বাক। আপু আতিকা জহির আজ হেসে হেসে কুটিকুটি হচ্ছেন। দাদা আমিন উদ্দিন বিস্ময়ের চোখে দেখছেন মানিকের পথচলা। আমাদের পথশিশুদের বিজয়ের হাতছানি। টোকাইদের আগামীর স্বপ্নীল দৃশ্যপট। আলোকের ঝলকানি। ভালোবাসার বাহুে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here