আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের মধ্যে আবার শুরু হয়েছে সংঘর্ষ । তাই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছেন ভারত সীমান্তবর্তী থান্টলং শহরের বাসিন্দারা। হাতেগোনা কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, একটি এতিমখানার কিছু শিশু আর অভিযানরত সেনা সদস্যরা ছাড়া শহরটিতে আর কেউ নেই। এদের মধ্যে বহু লোক সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন । মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের সীমান্তবর্তী শহর থান্টলং। সেখানে আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ থাকতেন। তবে এখন প্রায় জনশূন্য গোটা শহর।
সালাই থাং নামে স্থানীয় এক সম্প্রদায় নেতা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে শহরটিতে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে অন্তত চার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী চিন ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, তাদের হামলায় অন্তত ৩০ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। সামরিক বাহিনী থান্টলং শহরের বাড়িঘরে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেছিল। এতে মানুষজন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য মিজোরামের একটি নাগরিক সংগঠনের প্রধান জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে পাশের দেশটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
মিয়ানমার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অশান্তিতে জর্জরিত, যখন সামরিক বাহিনী বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে এবং এর প্রকৃত নেতা অং সান সু চি এবং তার অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার করে মিয়ানমারের জান্তা কনভয় রাস্তার পাশে বোমার আঘাতে মারাত্মক বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, ইয়াঙ্গুনের কাছে তার একটি কনভয় রাস্তার পাশে বোমা হামলার শিকার হয়েছে।
অভ্যুত্থান ইতিমধ্যেই দেশের সামরিক এবং জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতকে আরও খারাপ করেছে, নতুন সংঘর্ষের প্ররোচনা দিয়েছে যা হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
অন্যধারা/সাগর