অশ্রুর শিশির ঝরে
মোজাফফর বাবু
একাকিত্ব নির্জনতায় বৈশাখের তপ্ত দুপুরে
মনের কুঠোরে নির্জনতার বাঁশি বাজালে
সন্ধ্যা প্রদীপ ক্ষীন হয়ে জ্বলে
কামনা বাসনার স্বাদ অনলে পোড়ে
ত্রুটি বিচ্যুতি হলে বিচার বসে
ধমকে ঠমকে জীবনের বৃত্ত ঘোরে ।
মধুচন্দ্রিমায় ওপাড়ে চলে পতি
আলতা ঘুঙুর শাখা সিদুঁর , হলো চুরি
গঙ্গার স্নান শেষে বসন খুলে জবরদস্তি
কৃষ্ণেরকাল গ্রহে সেঁটে দেয় , হালকা পাড় সাদা শাড়ি
হৃৎপিন্ডের আহাজারি করে ক্ষণে ক্ষণে
বিষন্নতার অনলে বারবার কুড়ে খায় অঘাটে
ফকফক করে করিডোরের বেলকনি
প্রাসাদে জ্বলে সোডিয়াম বাতি
সোডিয়াম বাতি দেখে মনে হয়
জেলের সেলের টর্চারের আলো
তুষের মত জ্বলে পুড়ে হয় কালো ।
বিধবার দেয় নতুন শিক্ষা
নিরামিষ ভোজী দীক্ষা
আমিষ দেখাও পাপ থাকতে হয় উপবাস
মনে হয় মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছি আজব জীব ।
আমি আজ রিক্ত নিঃস্ব মনিহারা ফনি
দুঃখের নীলাভ বাক্সে হয় বন্দী
দেয়ালে দেয়ালে নামের ফলক সাটে বিধবা
বড় অদ্ভুত সমাজ সংসার নিছক রঙ তামাশা ।
পড়ন্ত বেলায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর বঞ্চনা
মুছে যায় , আদর সমাদর নান্দনিক ভালোবাসা
স্বপ্নের পানসি ভেড়ে না কোন কূলে
মমর স্বপ্ন দাবান হয় অন্ধকূপে ।
অন্যধারা/সাগর