আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাবুলে ড্রোন হামলায় ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে এবং শীর্ষ মার্কিন জেনারেল ক্ষমা চেয়ে বলেছেন যে আফগানিস্তানে যারা নিহত হয়েছে তারা আইএস- এর সাথে যুক্ত ছিল না। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট এ ঘটনার অনুসন্ধান চালায় এবং তারা জানায়, ওই হামলায় নিহতরা কেউ আইএস জঙ্গি ছিল না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে দেখা গেছে, ২৯ আগস্টে মার্কিন ড্রোন হামলায় একজন ত্রাণ সহায়তাকর্মী ও তার পরিবারের নয় সদস্য প্রাণ হারান। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশুর নাম সুমাইয়া। তার বয়স মাত্র ২ বছর।
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি স্বীকার করেছেন যে আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওই ত্রাণ সহায়তাকর্মীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে শনাক্ত করে ড্রোন হামলা চালানোর আট ঘণ্টা আগে। তারা ধারণা করেছিল, ব্যক্তিগত গাড়িটি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস–কের কোনো আত্মঘাতী হামলাকারীর। এ হামলা ছিলো সত্যিই ‘মর্মান্তিক ভুল’। মার্কিন জেনারেল নিহতদের পরিবারের প্রতি “গভীর সমবেদনা” জ্ঞাপন করেন।
গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান দেশটি দখল করে নেয় এবং কাবুল দখল করে নেয় বলে যুক্তরাষ্ট্র গত মাসের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে তার সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়।
তালেবানরা রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় কাবুলের বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণে থাকা মার্কিন সৈন্যরা আমেরিকান নাগরিক, তৃতীয় দেশের নাগরিক এবং আফগান মিত্রদের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক এবং বিশৃঙ্খল স্থানান্তর অভিযান পরিচালনা করে। আমেরিকান কর্মকর্তারা আইএসকেপি কর্তৃক বিমানবন্দরে হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
অন্যধারা/সাগর