বিশেষ প্রতিনিধি:
ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়ে সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়ঃসন্ধির সময়টি। এই সময়ে আপনার সন্তানের উপর খেয়াল রাখুন। এই সময় বন্ধুদের সঙ্গে আলাদা করে জগৎ গড়ে তোলে। সেই জায়গাটা খারাপ নয় কিন্তু ধীরে ধীরে দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিত হতে থাকা সন্তানটি যে আদতে স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতার পথে হাঁটছে না, তা বোঝানোর দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। ধূমপানহীন সমাজ তৈরি করতে আপনার সন্তানেরও যে অবদান রয়েছে তা তাকে বোঝান। ধূমপান করা মানেই বিপ্লবী হওয়া এমন ভ্রান্ত ধারনাকে বদলান। সিগারেট ধরালে স্মার্ট লাগে এমন ভুল ধারনা আসলে যে প্রতীকী, তা সন্তানকে বোঝানেও চেষ্টা করুন। একটি মাত্র সিগারেটও যে ক্ষতিকর আপনার সন্তানকে বোঝান। একটি মাত্র সিগারেটও যে ক্ষতিকর আপনার সন্তানকে বোঝান, কৌতূহলের ছলে অনেকে সিগারেট ধরানোর আগে ভাবে যে, ‘এক বারই তো খাচ্ছি, কী এমন ক্ষতি হবে’। কিন্তু একটা মাত্র সিগারেটও যে আদতে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর, তা বোঝানোর চেষ্টা করুন তাকে। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অবশ্যই খারাপ কিন্তু তার সঙ্গে যে টাকাও নষ্ট, একথা বোঝান আপনার সন্তানকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাবা-মায়েরা ধূমপানে আসক্ত। সে ক্ষেত্রে নিজেই বদভ্যাস বদলান। সন্তানকে বোঝান কেন ধুমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সে ক্ষেত্রে নিজেই নজির তৈরি করুন সন্তানের কাছে। সন্তান এবং বাবা-মায়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো হলে তার সঙ্গে আলোচনায় বসুন। ধূমপান করতে দেখলে খোলা মনে, তার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।
অন্যধারা/ ৩০ আগস্ট,২০২১/ দ ম দ