নাঈমুল রাজ্জাক :
মানসিক বিকাশ পারে নির্মল, সবচেয়ে মানবিক ও সৃজনশীল হয়ে গড়ে তুলতে।আর সৃজনশীল মানুষ তৈরিতে পুস্তক হল মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধানতম মাধ্যমও বটে। এই মানসিক বিকাশ শুধু সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে না, বরং ইতিবাচক মানুষ হিসেবেও গড়ে তোলে।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব সর্বজনস্বীকৃত। কোন কিছু সম্পর্কে জেনে থাকা বা বুঝে থাকা। কোন কিছুর প্রকৃত অবস্থা, তথ্য, বিবরণ বা গুণাবলী সম্পর্কে ধারণা থাকা, যেটি অর্জিত হয়েছে উপলব্দির অনুসন্ধান কিংবা শিক্ষা গ্রহণের ফলে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। জ্ঞান অর্জনের সাথে জটিল মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়াও জড়িত, উপলব্ধি,সংযোগ এবং যুক্তিও।উইটজেনেটইন জ্ঞানের একটি সংজ্ঞা প্রদান না করে,তিনি জ্ঞানকে একটি পরিবারের প্রতিচ্ছায়া রুপে দেখেছেন।যা বৈশিষ্ট্যগুলোকে চিহ্নিত করে কিন্তু এটি পরিপূর্ণভাবে কোন সংজ্ঞা দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। সুচিন্তা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে এমন প্রকৃত জ্ঞানাজনের মাধ্যমে এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাও গড়ে উঠে।
জ্ঞানার্জন হতে পারে কর্মের ক্ষেত্রে,শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য ,সৃষ্টিশীল ক্ষেত্রে ইত্যাদি । সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ মাত্রই নিজেকে বিকশিত করার চেষ্টায় সদা নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে পছন্দ করে। মানুষের ভিতরে এক প্রকার সত্তা বিরাজ করে। যা ভালো ও মন্দের পার্থক্য করার সক্ষমতা রাখে। তেমনি পুস্তকেরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকারভেদ। পুস্তক জ্ঞানের পরিধি যেমন বাড়িয়ে থাকে, তেমনি মানসিক বিকাশও ঘটিয়ে থাকে।
একজন মানবিক মানুষ হতে হলে পুস্তককে কর্মের ক্ষেত্রে,শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফলাফল অর্জনে,সৃষ্টিশীল ক্ষেত্রে হিতকর মাধ্যমে পরিণত করতে হবে। মানবিক মানুষ মাত্রই প্রাণের সহিত জ্ঞানের বন্ধন সৃষ্টি করে থাকে। সাহিত্য-সংস্কৃতি তো আছেই। কবি,লেখক-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে আধুনিক লেখক, কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় পুস্তক বন্দনা দেখা যায়।তাই বলা যেতেই পারে, মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীল মানুষ তৈরিতে পুস্তকই প্রাণের অবিবেচ্ছদ্য অংশ।
৩০-০৮-২০২৩ইং