হুমায়ূন আহমেদ এর হিমু

- Advertisement -
- Advertisement -

হিমু হচ্ছে বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক চরিত্র। হিমু মূলত একজন বেকার যুবক যার আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক।নব্বইশের দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয় । প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে।

হিমুর প্রকৃত নাম হিমালয়। বাল্যকালে তার বাবা তার নাম রেখেছিলেন হিমালয়, যা হিমালয় পর্বতের ন্যায় মহত্ব প্রকাশ করে। হিমুর বাবা তাকে একজন মহাপুরুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তার ছেলের এমন নাম রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রজীবনে এই নাম নিয়ে হিমুকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তার পিতামহ তার অন্য নাম রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু হিমু তার বাবার দেয়া নামই গ্রহণ করে।

হিমুর বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে।হিমু চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার পোশাক ও গেট-আপ কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর। তার আস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন রাত ঘুরে বেড়ায় ।

সে খুব একটা সুদর্শন না হলেও তার চোখ ও হাসি খুব সুন্দর বলা হয়েছে। সে সবসময় হলুদ রঙের পাঞ্জাবী (অধিকাংশ সময়ে যেটার পকেট থাকে না) পরে। বেশিরভাগ সময় সে খালিপায়ে চলাফেরা করে। শীতকালে সে রুপার দেওয়া কাশ্মীরি শাল ব্যবহার করে। তার চুল ও দাড়ি সবসময় বড়বড় রাখে তবে প্রায়ই সে পুরোপুরি ন্যাড়া হয়ে যায়। রাতের বেলায় রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে।

তার ফুপাতো ভাই বাদল তার অন্ধভক্ত। যে তার আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতি নিঃসন্দিহান এবং তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। হিমু মাঝে মাঝে ভবিষ্যতবাণী করে যা প্রায় সময়েই মিলে যায়। সে তার যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে কাজ করে, এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। প্রায় সময়ই হিমুকে পরোপকার করতে দেখা যায় (যদিও তাতেও কিছু বিভ্রান্তি মিশ্রিত থাকে)।

মাঝে মাঝে রাস্তায় ও পার্কেও রাত কাটায়।  তার কোনো পেশা নেই। হিমুর বেশকিছু বিত্তবান আত্মীয় রয়েছে। হিমু প্রায়ই তার বিত্তবান আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার এবং অর্থসাহায্য পায়। তার লোভ, লালসা, ঈর্ষা, ভয় নেই। তার এরূপ আচরণ অনেক মানুষকে তাকে মহাপুরুষ ভাবতে প্রভাবিত করে। হিমু যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও রসবোধসম্পন্ন ব্যক্তি।

- Advertisement -

আরো পড়ুুর