অনলাইন ডেস্ক
ছিনতাইকারীরা ভেবেছিলেন কাছে হয়তো অনেক টাকা-পয়সা আছে। ওই টাকা ছিনিয়ে নিতে ছুরিকাঘাত করেন। এতে মারা যান জয়নুর রহমান জনি (২০)। পরে ছিনতাইকারীরা দেখেন, জনির কাছে মাত্র ৩০০ টাকা দামের একটি বাটন মোবাইল ফোন।
নিহত জয়নুর রহমান পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের সরকারি মহিলা কলেজের সামনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।
এ ঘটনায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবির একটি টিম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের সখিপুর এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিনের ছেলে ও বর্তমানে জামতলা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের হোতা সাগর (২৩) ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি কাঠের মার্কেট এলাকার মৃত মানু চানের ছেলে বিশাল (২৪)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন ও ধারালো সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়।
এসপি বলেন, পোশাকশ্রমিক জনিকে একাই ছুরিকাঘাত করেন সাগর। তাকে পাহারা দেন জয়চান ওরফে বিশাল। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
শনিবার ভোরে কুষ্টিয়ার জেএস বাসযোগে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া মোড়ে নেমে হেঁটে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন জনি। এ সময় তাকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জয়নুর রহমান জনি ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ফেইম এ্যাপারেলস লিমিটেডের জুনিয়র কোয়ালিটি অফিসার ছিলেন তিনি।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ