ইয়াসের পরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, আঘাত হানবে ৯ মে

অন্যধারা ডেস্ক:

২০২১ সালের মে মাসে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এতে পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবার সাগর উপকুলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’।
এর আগে গত ২০০৯ আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। ২০১৯ সালে আঘাত হেনেছিল ‘ফণী’। ২০২০ সালে ‘আম্ফান’ লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সবকিছু।
আজ (৭ মে) এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে মধ্য আন্দামান সাগরের ওপরে। উত্তর ও পশ্চিম (অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা) উপকূলের দিকে এটি ধেয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামীকাল ৮ মে ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং ৯ মে অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলে ব্যাপকভাবে আঘাত হানতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। উক্ত সময়ের মধ্যে সমুদ্রে মৎসজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত নিম্নচাপ আবহে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনো সময় এটি দিক পরিবর্তন করতে পারে বলেও জানান। ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে সতর্কবার্তা থাকছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।

প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে দক্ষিণ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি পাঁচটি আপৎকালীন ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করছে প্রশাসন। প্রতিটি দলে ২০ জন করে কর্মী থাকবেন। এছাড়াও সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সিভিল ডিফেন্স কর্মী মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে কোস্ট গার্ডসহ এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর সাহায্য নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ‘মাইকিং’ শুরু হয়েছে যাতে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারণা হচ্ছে, আগামী রোববার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে।

যে কোন বিপর্যয়ের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতলসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। এছাড়াও বিপদগ্রস্তদের অতি সত্ত্বর অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নৌকা রাখা হয়েছে। দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য একাধিক অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। জরুরী চিকিৎসা প্রদানের জন্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, গাছ ভেঙে পড়লে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

দৈনিক অন্যধারা/০৭ মে ২০২২/জ কা তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here