একাধিক শারীরিক সম্পর্কের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিককে ‘সবক’ দিলেন অভিনেত্রী

একাধিক শারীরিক সম্পর্কের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিককে ‘সবক’ দিলেন অভিনেত্রী

অন্যধারা ডেস্ক:

পর্দায় তার দেখা নেই দীর্ঘদিন। তবে মাঝেমধ্যেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে বিদেশে থাকেন। তাকে নিয়ে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক এমন বিস্ফোরক বক্তব্য দেন যা রীতিমতো ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই হইচই ফেলে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সাংবাদিক দাবি করেছেন, এই অভিনেত্রী বাবা-ছেলে দুজনের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।

এ নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাসখানেক আগে পাকিস্তানের একজন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন। তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জৈনক ওই পাকিস্তানি সাংবাদিকের দাবি, ‘সেলিনা জেটলিই একমাত্র বলিউড অভিনেত্রী যিনি বাবা ফিরোজ খান ও ছেলে ফারদিন খান, দুজনের সঙ্গেই একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।’

এমন টুইট ভাইরাল হওয়ার পরই সেলিনা জেটলি একহাত নেন ওই সাংবাদিককে। অভিনেত্রীর ভক্তরাও পালটা তোপ দাগেন। সেই ইস্যু নিয়ে ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন সেলিনা জেটলি। নায়িকার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ‘জনসীন’ নামে এক সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন সেলিনা। যেখানে ফিরোজ খান ও ফারদিন খান দুজনেই অভিনয় করেছিলেন। সেই সিনেমাতেই খোলামেলা অবতারে ধরা দিয়েছিলেন সেলিনা জেটলি। আর সেটাই ছিল ফারদিন খানের প্রথম সিনেমা।

পাকিস্তানি সাংবাদিক সেই সিনেমার প্রসঙ্গ টেনেই অভিনেত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এবার টুইটারে জাতীয় মহিলা কমিশনের কড়া পদক্ষেপের চিঠি প্রকাশ্যে এনে ওই সাংবাদিককে ‘সবক’ শেখালেন অভিনেত্রী। বিষয়টি নিউ দিল্লির পাকিস্তান হাই কমিশনে জানিয়ে ইতোমধ্যেই কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।

অভিনেত্রীর টুইটে উল্লেখ করেন, ‘মাসখানেক আগে উমেইর সান্ডু নামে পাকিস্তানের এক স্বঘোষিত হিন্দি সিনে সমালোচক আমার বিরুদ্ধে ভয়ংকর কথা রটিয়ে বেড়ায়। এমনকী এও দাবি করে যে, আমি নাকি আমার মেন্টর ফিরোজ খান ও তার ছেলে ফারদিন দুজনের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কে ছিলাম। আমাকে টার্গেট করা হয়। এমনকী অস্ট্রিয়াতে আমার পরিবারের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। এরপরই আমি জাতীয় মহিলা কমিশনে বিষয়টি জানাই। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ যায়। তারা পাকিস্তান হাই কমিশনের কাছে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে।’

এরপরই অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘এই অপমান আমার একার নয়। আমার গুরু মেন্টর ফিরোজ খান, যিনি প্রয়াত, তার সম্পর্কেও কুরুচিকর কথা বলা হয়েছে। আমি ভারতীয় সেনা জওয়ানের মেয়ে, তাই আমাকে যদি ওই সাংবাদিককে শিক্ষা দিতে পাকিস্তান যেতে হয়, আমি সেটাও যাব।’

ডিও // রহখ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here