অফিসে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ঘুমাতে পারবেন কর্মীরা। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি কোম্পানি সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের মাঝে মাঝে কিছুটা সময় ঘুমাতে বা বিরতি নিতে পারলে শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করে।
বেঙ্গালুরুভিত্তিক স্টার্টআপ ওয়েকফিট প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ মিনিট ঘুমানোর অনুমতি দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৫ মে ২০২২) ওয়েকফিট সলিউশন টুইটারে একটি পোস্টে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কর্মীদের কিছুটা বিরতি বা অল্প কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম এবং তারা কোন সময়ে এই সুবিধা পাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সেখানে জানানো হয়।
ওয়েকফিট সলিউশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া তার সহকর্মীদের কাছে এ বিষয়ে মেইল পাঠিয়েছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, এখন থেকে দুপুর ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কর্মীরা ঘুমানোর সময় পাবেন।
তিনি বলেন, ছয় বছরের বেশি সময় ধরে যে সকল ব্যবসা করছি তা ঘুমের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। কিন্তু আমরা বিশ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক অর্থাৎ দুপুরে কিছু সময় ঘুমানোর প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। আমরা সব সময় স্বল্প সময়ের ঘুমকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। নাসার এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ মিনিটের ঘুম আপনার কর্মক্ষমতা ৩৩ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম। এছাড়া ঘুম কিভাবে আমাদের পুনরুজ্জীবিত করে সে বিষয়টি উঠে এসেছে হার্ভার্ডের গবেষণায়।
কোম্পানির পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় ঘোষণা করা হয়েছে যে, প্রতিদিন সব কর্মীর ৩০ মিনিট ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তাদের কোনো কাজের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কর্মীদের ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতেও কাজ করছে তারা।
অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্বল্প সময়ের এই ঘুম ক্যাট ন্যাপ নামেও পরিচিত। কাজের মধ্যে অল্প সময়ের জন্য এই বিশ্রামের সময় পেলে তা খুব দ্রুত শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে।
দৈনিক অন্যধারা/০৭ মে ২০২২/ জ কা তা