কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব‍্যবহার

0
122

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক :

কুমিল্লায় স্থানীয় এক উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রিক ব‍্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলার দাউদকান্দি উপজেলাধীন কলাকোপা এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিমাণকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর নির্মাণে এসব অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত নিম্নমানের ইট (২, ৩ ও ৪নং) মিক্স দিয়ে ঘর নির্মাণ ও বারান্দাসহ ঘরের ভিতরে কাজ করছে শ্রমিকরা। সেই সাথে ইটের কংক্রিটগুলো ছিলো আরও নিম্নমানের। যা সরকারি প্রকল্পের কাজে কোন ভাবেই ব‍্যবহারযোগ‍্য হতে পারে না।

এবিষয়ে ঘটনাস্থল থেকেই বেলা ১২টা ৩২ মিনিটের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মহিনুল হাসান কে মুঠোফোনে জানানো হলে এবং কাজের অনিয়মের ভিডিও পাঠানো হলে তিনি এ ঘটনায় ব‍্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তিনি ব‍্যবস্থা না নিয়ে কিংবা ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করেই মাত্র দশ মিনিটের ব‍্যবধানে (১২টা ৪২ মিনিটে) সাংবাদিককে ফোন দেন মাসুম নামে এক ব‍্যক্তি।

এরপর ওই ব‍্যক্তি সাংবাদিককে সালাম দিয়ে জানতে চান আপনি কি কলাকোপা আছেন? আপনার নাম্বারটি একজন দিলো। আপনি ওইখানে নাকি রিপোর্ট করতেছিলেন! এসময় তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি কি ইউএনও স‍্যারকে ফোন দিয়েছিলেন? স‍্যার আপনার নাম্বার দিলো, থাকেন ওইখানে আসতেছি।

এরপর ঘটনাস্থলে ওই ব‍্যক্তি এসে ঘর নির্মাণের নিম্নমানের সামগ্রী দেখেন এবং কাজের অনিয়ম তিনি স্বীকার করেন। এসময় তিনি রিপোর্ট না করতে বারবার অনুরোধ জানান সাংবাদিকদের। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ম‍্যানেজ করতে অনৈতিক ভাবে অর্থের প্রস্তাব দেন এবং ঘুষ দিতে বার বার চেষ্টা করেন।

ওই ব‍্যক্তির কাছে ইউএনও সাহেব কি বলে এখানে পাঠিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেছেন। কিভাবে বলেছেন জানতে চাইলে তিনি তার হোয়াইটআপ দেখান। তাতে দেখা যায় ইউএনও মোঃ মহিনুল হাসান মাসুম নামের ওই ব‍্যক্তিকে হোয়াইটআপের মাধ্যমে রিপোর্টারের নাম্বার লিখে পাঠান এরপর তাকে হোয়াইটআপে ফোন দিয়ে কয়েক মিনিট কথা বলেন।

ফিরতি ম‍্য‍াসেজ হিসেবে মাসুম ভয়েস পাঠান ওই ইউএনওর কাছে, ঠিক আছে স‍্যার, আমি এখনি যাচ্ছি। পরে এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম‍্যাজিস্টেট খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ফোন রিসিভ না করলেও পরে ম‍্যাসেজের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। অন্যদিকে চট্টগাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলামকেও এ বিষয়টি জানানো হয়।

২৯ নভেম্বর ২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here