জমজমের পানি নিয়ে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

অন্যধারা ডেস্ক :

বহুগুণে সমৃদ্ধ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া বরকতময় নেয়ামতের পানি জমজম। জমজমের পানির গুণাগুণ ও উপকারিতার বিষয়টি চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। হজ ও ওমরায় অংশগ্রহণকারীরা এবং জমজমের এ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভব্য ব্যক্তিদের জন্য এ পানি পানের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন।

যমযম কূপের পানি পৃথিবীর সমস্ত পানি থেকে স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র ও বরকতময়। যমযমের পানির একটি সতন্ত্র স্বাদ অনুভুত হয় যা কেবল পানকারী অনুভব করতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যমযমের পানির মাত্র এক ফোঁটা এক হাজার ফোঁটা সাধারণ পানিতে মেশানো হলে ওই পানিও যমযমের পানির বৈশিষ্ট্য অর্জন করে

হাদিসে ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করা ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। মুনাফিকরা চাহিদা মতো জমজমের পানি পান করত না। এছাড়া এ পানি পানের রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। কী সেই উপকারিতা?

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পানি পানের নির্দেশ ও তা পান করার বর্ণনা করে উল্লেখ করেন:

১. কেবলামুখী হতে হবে
২. আল্লাহর নাম স্মরণ করবে
৩. তিনবার নিঃশ্বাস নিয়ে তৃপ্তি সহকারে পান করবে
৪.পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনায় এসেছে, ‘জমজমের এ পানি দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে তিন নিঃশ্বাসে পান করা সুন্নাত। বরকত ও উপকার পাওয়ার আশায় জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া করাও উত্তম-

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা’আন মিন কুল্লি দায়িন।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্থ রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি।’ (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম)

এ পানি পানে নিয়ত অনুযায়ী উপকারিতা পায় মুমিন। হাদিসে এসেছে-

হজরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার পাওয়ার আশায় পান করা হবে; তা অর্জিত হবে বা সে উপকার পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ)

 

খ.র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here