টক অব দ্য টাউনে ওটিটির সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক :

মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, মহানগর, সিন্ডিকেট বা কাইজার। ওভার দ্যা টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মের সিরিজগুলো এখন টক অব দ্য টাউন। এসব সিরিজের বিভিন্ন সংলাপও মানুষের মুখে-মুখে। আশা জাগানিয়া এই গল্পে স্বপ্ন বুনছেন অভিনেতা-নির্মাতারা। তবে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন কনটেন্টে ভিন্নতা আনতে না পারলে খেই হারাবে এই ধারাও।

ওটিটি যেন ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে। ওটিটি, সিনেমা হলের যখন বেহাল অবস্থা সেই সময় এই প্লাটফর্মটি যেন হাউজফুল। হঠাৎ এমন জোয়ার, এমন আশা জাগানিয়া গল্প হয়েই ধরা দিচ্ছে সাধারণে।

একজন দর্শক বলেন, ওটিটির কনটেন্টগুলো টেলিভিশন কিংবা ইউটিউব কনটেন্টের থেকে বেশ আলাদা। টেলিভিশন ও ইউটিউবে সাধারণত একই ধরনের গল্প বারবার দেখা যায়।

করোনাকালীন গৃহবন্দি দশাতেই দৃশ্যপটে এসেছে এই ওটিটি প্লাটফর্মে। সময়ের হাত ধরে যা বুনছে উত্থানের গল্প। আর তাইতো শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ওটিটি প্লাটফর্মকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে অভিনেতা-নির্মাতারাও।

অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান বলেন, ওটিটি আমার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে হয়ে গেছে। অভিনেতা, নির্মাতা বা এক্ষেত্রে যারা কাজ করেন, তাদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। যেহেতু ওটিটিতে দর্শকদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, যেখানে আপনি ভালো মানের কনটেন্ট পাচ্ছেন, সেখানে কেন জোড়াতালি দেয়া কনটেন্ট দেখবেন।

কাট-ছাঁট বাজেটের বাইরে এসে ওটিটি প্লাটফর্ম দিচ্ছে পেশাদারিত্বের নির্ভরতা। যেখানে ফুটে উঠছে অভিনয়ের মুনশিয়ানাও। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মেও বিশ্বমানের কাজ হবে বলে আশাবাদ থাকলেও উঠে এল নীতিমালা প্রসঙ্গও।

এ ব্যাপারে নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, নির্মাতাকে যদি ভয়ের মধ্যে রাখা হয় তাহলে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি সম্ভব নয়। নীতিমালা প্রোডাকশন ও ইন্ডাস্ট্রি বান্ধব হতে হবে। সবার সমর্থন প্রয়োজন।

দীর্ঘদিন ধরেই মূলধারার বিনোদন ক্ষেত্র যখন ব্যর্থ, ওটিটি প্লাটফর্ম তখন যেন মরুভূমির বুকে একপশলা বৃষ্টির অনুভূতি। তবে তা যেন হুটহাট এসে আবার চটজলদি গায়েব না হয়ে যায়। চলচ্চিত্র বিশ্লেষক মুম রহমান বলছেন, কনটেন্টে ভিন্নতার প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, উঁচু মানের কনটেন্ট দিতে হবে। কিছু চমক তৈরি করা, দর্শক হাসানো, যেটা একসময় টেলিভিশন নাটকে হয়েছে। আবার সস্তা স্থূল বিনোদন দেয়া, যেটা চলচ্চিত্রে একসময় হয়েছে। ওটিটি প্লাটফর্মে এখন একটা প্রবণতা দেখছি যে, নেতিবাচক গল্পকে তুলে ধরা, অপরাধ প্রবণতাকে উৎসাহ দেয়া। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ঘড়ির কাঁটায় এখন শুধু দেখার পালা, সময়ের সঙ্গে ওটিটির কনটেন্টের মান ও দর্শকের রুচির ভারসাম্য কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?

খ.র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here