ভেঙে গেছে দুইবারের সংসার, পরকীয়ায় জড়িয়ে খুন হয় নারী

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি (৩২) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তার পরকীয়া প্রেমিক। এ ঘটনায় শাহাদাত হোসেন জীবন (২৪) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার শাহাদাত হোসেন জীবন সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে। নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি একই গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের একটি সবজিক্ষেত থেকে জান্নাতুলের হাত-পায়ের রগ ও গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার চারদিনের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর পরকীয়া প্রেমিক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, ২০০৮ সালে পাখির প্রথম বিয়ে হয়। তিন বছর পর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে ঘরে তার একটি ছেলেসন্তান আছে। ২০১৪ সালে তার আবারও বিয়ে হয়। ছয়মাস পর তাও ভেঙে যায়। চলতি বছরের ২৯ মে জীবনের সঙ্গে পাখির ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক, পরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিবাহিত শাহাদাতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম আরও জানান, মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে পরস্পর যোগাযোগ করে সোনাইমুড়ীর পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির সংলগ্ন সবজিক্ষেতের দক্ষিণ পাশে নির্জন স্থানে যান। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামি তার কাছে থাকা ছোরা দিয়ে পাখিকে গলা কেটে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত-পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করা হয় নিহত নারীর ভাই। শনিবার (১৮ জুন) শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

দৈনিক অন্যধারা/ এইচ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর