স্পোর্টস ডেস্ক
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে না পারুক, কিন্তু এ দেশের মানুষের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার খবর সারা বিশ্ব জানে। বিশ্বকাপ এলে এ দেশের প্রতিটি বাড়ির ছাদে, অলিতে-গলিতে উড়তে থাকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স কিংবা পর্তুগালের পতাকা। তবে, উন্মাদনাটা বেশি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে নিয়ে সবাই উতসাহ করে।
১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে এ দেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি। এখন তো যোগ হয়েছে মেসি ম্যানিয়া। যে কারণে বাংলাদেশে ফুটবল ভক্তদের অধিকাংশই মেসির কারণে আর্জেন্টিনা সমর্থক। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার পরাজয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।
শনিবার রাতে ছিল মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলা। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। হারলেই বিদায় নিশ্চিত। ড্র করলেও অনিশ্চিত হয়ে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা।
এমন এক ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনো গোল নেই। বরং, আর্জেন্টিনার খেলায় মন ভরাতে পারেনি সমর্থকরা। এমনকি খোদ আর্জেন্টিনার সমর্থকরাই বলতে শুরু করেছিল, এমন খেলা দিয়ে কতদূরই বা যেতে পারবে মেসিরা?
আর্জেন্টিনা থেকে কয়েক হাজার মাইল কিংবা বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার থেকেও হাজার কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের বুকেও তখন উল্লাসের ঢেউ, আনন্দের বন্যা। আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকরা উন্মাতাল হয়ে ওঠে মেসির ওই গোলের পর।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানো হচ্ছিল। মেসির গোলের ওপর শেষ রাতের নীরবতা ছিন্ন করে গগনবিধারী চিৎকার আর উল্লাসে মেতে ওঠে সেখানে খেলা দেখা ভক্ত-সমর্থকরা। সেই ভিডিওটিই শেয়ার করেছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘এটাই ফুটবলের শক্তি। মেসির গোলে বাংলাদেশি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উল্লাস।’
আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচের সময় (সৌদি আরবের বিপক্ষ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে
শুধু বেসরকারি সেই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখা হাজার হাজার ফুটবল ভক্তের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টিএসসি, মুহসীন হলের মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজার হাজার সমর্থক। যেন কাতারের দোহায় অবস্থিত একটি ফিফা ফান ফেস্ট এগুলো।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ