যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে কাছে অস্ত্র বিক্রি করায় খেপলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

তাইওয়ানে ৬১৯ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবরে তাইওয়ানের মালিকানা দাবি করা চীন কি চুপ থাকবে! ১৭টি চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান এবং ৪টি শেনিয়াং জে-১৬ ফাইটার বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে। এর আগে বুধবার দিনব্যাপী ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে ঘুরে বেড়ায়।  তাইওয়ানে এফ-১৬ এর ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য সরঞ্জামও দেওয়া হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে এজিএম-৮৮ অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল এবং লঞ্চার। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের (এডিআইজে) দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বৃহস্পতিবার মোট ২১টি চীনা যুদ্ধ বিমান উড়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল, ১৭টি চেংডু জে-১০ মাল্টিরোল ফাইটার এবং ৪টি শেনইয়াং জে-১৬ স্ট্রাইক ফাইটার।

দুই দশকের আগের জে-১০ বিমানগুলো চীনা উপকূলের কাছাকাছি উড়েছিল। আর আধুনিক জে-১৬ স্ট্রাইক ফাইটারগুলো তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি এলাকায় উড়ে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পরে আরও ৮টি চীনা বিমান এবং ৪টি চীনা নৌযানও তাইওয়ানের উপকূলে শনাক্ত হয়। তবে এগুলো এডিআইজে-তে প্রবেশ করেনি। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ, এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে এই কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় এসব যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে এসব ঘটনায় চীন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

স্বশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ড হিসেবে মনে করে চীন। গত কয়েক বছর ধরে সঙ্গে ‘এক চীননীতি’ বাদ দিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বেইজিং। তাইওয়ানের দাবি, দ্বীপটি দখলের মহড়া দিচ্ছে চীনের সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা গেছে, যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের চেয়ে চীনা উপকূলের বেশি কাছাকাছি ছিল। যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলেও তাইওয়ান প্রণালীর সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেনি। এই রেখাকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সীমানা রেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগেও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে এই সীমানা রেখাকেও অতিক্রম করে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালায় চীন।

দৈনিক অন্যধারা / ০২-০৩-২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here