‘রহিম-নূরের লাশ উপহার দিয়ে সরকার দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে’

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক

ভোলায় বিএনপি আয়োজিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দুপুর ১২টায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি করে রহিম এবং ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমকে হত্যা করেছে। বিএনপিসহ দেশবাসী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছে।

বুধবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাতকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদের বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না বরং আওয়ামী লীগই লাশের রাজনীতি করে। আগস্ট মাসকে তারা (আওয়ামী লীগ) বলে শোকের মাস। আর সেই মাস শুরু করেছে রহিম-নূরে আলমের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলে কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো। বাঙ্গালী কাঁদবে না তাই কাঁদালো। রহিম-নূরে আলমের লাশ উপহার দিয়ে সরকার শুধু ভোলাবাসীকে কাঁদায়নি, সারা দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে বলে তিনি জানান।

পুলিশের গুলিতে আবদুর রহিম ও নূরে আলমের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, সে দিন অস্ত্র ছিলো পুলিশের হাতে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে কোন অস্ত্র ছিল না। সুতরাং তাদের গুলিতেই আমাদের এ দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে জেলা বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নূরে আলমের জানাজা ও দাফন শেষে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, সরকার জনগণের দাবি দাবায়ে রাখার জন্য গুলি করে দুটি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের বুকে, মাথায় পুলিশ গুলি করতে পারে না। গুলি করতে হলে করবে হাঁটুর নিচে। কিন্তু ভোলায় পুলিশ গুলি করেছে মাথায়, বুকে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শীমুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম জাবেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক মোহাম্মদ আলমগীর শাহিন, ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নেতারা।

দৈনিক অন্যধারা/ এইচ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর