সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণ: ঢাবির সেই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক :

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী নুর নবী। ৫ মার্চের সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি। টানা ১৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা গেলেন। আজ (২১ মার্চ, মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুর নবীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়জনে।

তার বন্ধুরা জানায়, বিস্ফোরণের সময় ওই ভবনের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন নুর নবী। এসময় হঠাৎ বিস্ফোরণে তার ওপর ভবনের দেওয়ালের কিছু অংশ পড়ে। এতে মাথা ও পায়ে আঘাত পান তিনি। ঘটনার দিন থেকেই আইসিইউতে ছিলেন। একদিন পর কোমায় চলে যান। নিহতের আত্মীয় সাকিব আল আকবার বলেন, সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন নুর নবী। ফলে বিস্ফোরণে তিনিও আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজকে মৃত্যু হলো তার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক সংবাদ এটি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু পারিনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। তবে শিক্ষার্থী পরিবারের জন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে তা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রক্টর। নুর নবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামে।

পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে ৫ মার্চ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্সল্যাবে তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুন ধরে যায় ওই ভবনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির তিনতলায় ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে মূলত বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এমনই ছিল যে, পাশের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবন কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।

দৈনিক অন্যধারা / ২১-০৩-২০২৩

- Advertisement -

আরো পড়ুুর