বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসাথে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এরপরই নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে এলে শিক্ষার্থীরা জুতা নিক্ষেপ করেন এবং চেয়ারসহ প্রশাসনিক ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর শুরু করেন।
এসময় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমসহ প্রশাসনে দায়িত্বরত শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় বটতলা ও মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ছাত্রলীগ হামলা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই তারা বঙ্গবন্ধু হলে এসে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের কক্ষ এবং ভাসানী হলে থাকা সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের কক্ষ ভাংচুর করেন। এ সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি কক্ষও ভাংচুর করা হয়; তছনছ করা হয় কক্ষে থাকা জিনসপত্র।
ওই ভাংচুরের পর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় কোন নেতাকর্মী আর হল বা ক্যাম্পাসে ফিরে আসেননি। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে সারা রাত শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক এবং হলগুলোর সামনে পাহারায় বসেছিলেন। বিরতি দিয়ে দিয়ে তারা হলগুলোতে মহড়া দিয়েছেন, মিছিল করেছেন।
১৭/০৭/২০২৪