জীবন্ত প্রাণীর বাগান । কল্যাণ চক্রবর্তী

- Advertisement -
- Advertisement -

জীবন্ত প্রাণীর বাগান 
কল্যাণ চক্রবর্তী

বনের পশুরা বন ছেড়ে চলে আসে
পালিত বনের ছায়ার গহীনে
বাঘের হিংস্রতা থেমে যায় জীবনের আয়তক্ষেত্রে
সিংহ ভুলে যায় শিকারের অসীম ক্ষমতা
জিরাফ শুধু দেখতে থাকে সভ্যতার কারুকাজ।

জেব্রার শান্ত স্বভাবে দীপ্ত হয় দর্শনার্থীর চোখ
শিশুরা হাতি হয়ে যায় হাতির পিঠের সওয়ার হয়ে
সাফারি পার্কের দৃশ্যপটে ভরে যায় হৃদয় ও মন
কবিতার খাতা খুলে বসে যায় ময়ূর ময়ূরী
পাখিরাও ডানা মেলে জানায় সবারে সম্ভাষণ
সবকিছু আদমের পদতলে নিবেদিত সর্বক্ষণ
বিচিত্র স্বভাবে নাচে মানব মানবী
বিশ্বটাকে এভাবেই বদলে দেয় মানব প্রতিভা।

সাফারি পার্কের ঘাসগুলো শিশিরের সাথে করে সহবাস
শীতের সকালে মাঠগুলো বোরখা পরা
নরীর মতো কুয়াশায় ঢেকে যায়
ইচ্ছে হয় সকল বনকে মাথায় তুলে রাখি
চুমু খেতে মন চায় নিরীহ বাঘের গালে
সিংহের দুর্বল পিঠে চড়ে ঘুড়ে বেড়াই দেবীর পিছন পিছন
রাজহংসের লেজ ধরে পাড় হই দীর্ঘ জলাসয়
কিন্তু পারিনা!
কেননা হিংস্রকে যতোই নীরিহ ভাবা যায় ততই বিপদ
পশুকে ভদ্র সমাজে এনে তুললেও হিংস্রতামুক্ত করা যায় না
স্বভাব আর সংস্কার নিজগুণে চিরঞ্জীবী হয়।

- Advertisement -

আরো পড়ুুর