- Advertisement -
- Advertisement -

মরক্কোর মারাকাশ শহর থেকে বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি শুক্রবার (৬ মে) সেখানকার একটি সুপার শপ থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
আইনজীবীদের ২০তম ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বর্তমানে মরক্কোর মারাকাশ শহরে অবস্থান করছেন।
লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সয়াবিন তেল শুল্কমুক্ত করলেন। এতেও কোনো লাভ হলো না। আসলে সরকারের কিছু লোক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে পরাজিত।‘এতো দাম একদিনে, যেটা মরক্কো থেকেও বেড়ে গেছে! এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। আশা করি এ ব্যাপারে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একটা ব্যবস্থা নেবেন।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আপনাদেরকে মরক্কোতে সয়াবিন তেলের দাম দেখাতে চাই। এখানে এক লিটার তেলের দাম ১৯ দশমিক ৫০ দিরহাম যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬৮ টাকা। মরক্কোর চেয়ে প্রায় ৩০ টাকা বেশি! ‘সুতরাং এটা বলা যাবে না যে, বিশ্ববাজার থেকে আমাদের তেলের দাম কম। মারাকাশ একটি পর্যটন এলাকা হওয়ার পরও এখানে সয়াবিনের দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক কম।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো এরকম গরিব মানুষের দেশে সয়াবিন তেলের লিটার ১৯৮ টাকা! এটা তো চিন্তাই করা যায় না। বাড়াতে বাড়াতে কতো দূর বাড়িয়ে ফেলছেন। এরপরও আপনাদের যুক্তি হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনারা বাড়াচ্ছেন।

দেশের দুর্নীতির বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই। ধরে নিলাম বাস্তব, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তেলের দাম বাড়াচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্নীতি কি কমাতে পেরেছেন?‘ বিভিন্ন জায়গায় নেতা বা মন্ত্রী এমপিরা যে দুর্নীতিতে আবদ্ধ হয়ে গেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের কয়জনকে আপনারা ধরতে পেরেছেন?’ মানুষ যে বাস্তবতা মেনে নেবে কোন বিবেচনায় মেনে নেবে? আপনারা এমন কোনো পণ্যের কথা কি বলতে পারবেন যার দাম কমেছে। পণ্যের দাম কমিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে বলছেন না তো যে, আমরা দাম কমিয়েছি। আমরা সফল হয়েছি।
সিন্ডিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আপনারা দাম বাড়ানোর সময় প্রেস কনফারেন্স করেন। তাও আবার আপনারা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে বাধ্য হয়ে সেটি করছেন। আমি মনে করি যে, রীতিমতো আপনারা আত্মসমর্পণ করেছেন। তা নাহলে কোনোভাবেই এতো টাকা বাড়ানো যায় না। বাংলাদেশে একবার জিনিসের দাম বাড়লে, পরে কতবার সেটি কমানোর উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে দাবি জানাবো, পর্যাপ্ত পরিমাণ যুক্তি যদি মানুষকে দেখাতে না পারেন তবে তেলের দাম বাড়াবেন না। তেলের দাম বাড়ালে আমাদের মধ্যবিত্তরা শেষ হয়ে যাবে। যারা লুটপাটকারী, ঘুষখোর, সুদের ব্যবসায়ী এবং যারা বড় বড় চাকরিজীবী তাদের জন্য কিন্তু সমস্যা হবে না। বিপদে পড়বে মধ্যবিত্ত শ্রেণিটা।’
দৈনিক অন্যধারা/০৭ মে ২০২২/জ কা তা
- Advertisement -