মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি-সিগারেটও খাই না, টিটিই শফিকুল

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

পাকশী রেল বিভাগের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে টিটিই শফিকুল ইসলামকে মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেন। মন্তব্যের জবাবে টিটিই শফিকুল বলেছেন, আমি মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি-সিগারেটও খাই না। এমনকি আমি চায়ের দোকানে গিয়ে চা-ও খাই না।

রোববার (৮ মে) সকালে তদন্ত কমিটির ডাকে পাকশী রেলওয়ে কার্যালয়ে আসেন শফিকুল। দুপুরের দিকে রেলওয়ে চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা জানান তিনি।

ডিসিও নাসির উদ্দিন আরও মন্তব্য করেন, টিটিই শফিকুল ইসলাম হীনমন্যতায় ভোগেন। এমন মন্তব্যের জবাবে টিটিই শফিকুল জানান, ডিসিও’র মন্তব্য ঠিক নয়। তিনি আমার সম্পর্কে ভুলভাল বলে যাচ্ছেন। চাকরির প্রতি আমার যথেষ্ট আন্তরিকতা ও সন্তুষ্টি রয়েছে। প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি চাকরিতে জয়েন করার প্রথম দিনেই ৭৮ হাজার ৪৩৬ টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছিলাম। আমার সহকর্মীরাসহ আল্লাহপাকও জানেন- আমি কোন মানসিক বিকারগ্রস্ত কি না! তাছাড়া এটিই আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা। আমি মাদকাসক্ত হলে এতদিন সুনামের সাথে চাকরি করতে পারতাম না।

মন্ত্রীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেছিলেন, টিটিই তাদেরকে লাথি মেরে ট্রেন থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। এর জবাবে টিটিই শফিকুল বলেন, এসব মিথ্যে ও বানোয়াট কথা। এমন কথা আমি কখনোই বলিনি। আমি তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় কথা বলেছিলাম। তারাও ভদ্র ভাষায় কথা বলেছেন।

তিনি আরও জানান, সেই তিন যাত্রী মন্ত্রীর লোক বলে পরিচয় দেননি। তবে এবিষয়ে এসিও (উত্তর) নুরুল আলম তাকে বলেছিলেন যে, ওই তিন যাত্রীরা মন্ত্রীর আত্মীয়। নুরুলের সাথে পরামর্শ করেই তিনি তাদেরকে টিকেট কাটতে বলেছিলেন।

 সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের সময়ে ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানোর সময় ছিল। কিন্তু ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাকে রাতের বেলায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নুরুল আলমের কাছে বরখাস্তের কারণ জানতে চাইলে নুরুল তাকে জানান, তিনিও কারণ জানেন না। কেবলমাত্র সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টিই জানেন।

টিটিই শফিকুল জানান, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অফিসিয়াল চিঠি হাতে পেলে কাজে যোগদান করবেন।

- Advertisement -

আরো পড়ুুর