নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ (বাঁয়ে) এবং মেয়ের সঙ্গে কাউন্সিলর একরামুল হক।
কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহতের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কাউন্সিলর একরামুল হকের ঘটনা আমার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি তখন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে একধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টচর্চা ছিল, এখনো আছে। একশ্রেণির মানুষের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টচর্চায় যারা আমাকে অন্যায় ও আযৌক্তিকভাবে তাদের বিপক্ষে আবিষ্কার করেছে তাদের প্রতিও আজ আমার কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ নেই। তারাও ভালো থাকবেন, সে প্রত্যাশা করবো আমি।
একরামুলের ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করলেন এটা কিন্তু একটা লিগ্যাল বিষয়। লিগ্যাল বিষয়টা যদি অন্যায্য বা অনৈতিক এ ধরনের কিছু চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি। এটা ঘটেছে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে…। আমার ফিল্ড লেভেলের লোকজন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা ঘটার পরে যে ভদ্রলোক নিহত হয়েছেন তার সঙ্গে কিন্তু ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। এটা কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয় না।
আইজিপি বলেন, ‘খুন হলেও দুটো পক্ষ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত। পুলিশ দুই দলকে খুশি করতে পারে না। এ কারণে একপক্ষ সব সময় ভুল বোঝে। আইনি দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ায় অনেকেই বিপক্ষে গেছেন। সেটা বিদায়লগ্নে আর বলতে চাই না আমি।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জিম্মিদশা থেকে ওই এলাকার মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি আমরা।
পুলিশের সবচেয়ে বড় পদে দায়িত্ব পালনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এর বাইরে আরেকটা বিষয় থাকে সামাজিক প্রত্যাশা। সামাজিক প্রত্যাশার জন্যও অনেক কিছু করতে হয়েছে। দায়িত্ব পালনে যিনি অপর পাড়ে ছিলেন। লাইনের উল্টো দিকে ছিলেন। তিনি নিজেকে প্রতিপক্ষ মনে করলে সঠিক হবে না বলে তিনি জানান।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ